Ad

Wednesday, February 27, 2013

ইসলামবিদ্বেষী ব্লগারদের ধরতে গোয়েন্দা সুপারিশ আমলে নেয়নি সরকার : আটকের পর আসিফকে সরকারের পক্ষে লেখা ও বিয়ে করার পরামর্শ দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়

 আসিফ যে নাস্তিকবাদী লেখক তার প্রমাণ এই লিংক পড়লেই জানা যাবে।
http://www.somewhereinblog.net/blog/mondovalo/29458689
মহান আল্লাহ, মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.), সাহাবায়ে কেরাম ও নামাজ, রোজা, হজসহ পবিত্র ইসলামের বিভিন্ন বিধিবিধানকে কটাক্ষ করে কুিসত ও উগ্র মন্তব্যকারী ব্লগারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সুপারিশ আমলে নেয়নি সরকার। দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা রক্ষার স্বার্থে ধর্মীয় মূল্যবোধের ওপর চরমভাবে আঘাত প্রদানকারী এসব ব্লগারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রায় এক বছর আগেই সরকারের কাছে প্রতিবেদন দেয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। পাশাপাশি ওইসব ব্লগারের ব্যবহার করা ব্লগ ও ফেসবুক স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়ার জন্য সরকারের সহযোগিতা চেয়ে চিঠি লেখে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি)।
উচ্চ আদালতের একটি নির্দেশনার ভিত্তিতে এ সংস্থাগুলো সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরে এ ধরনের সুপারিশ করলেও এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়া তো দূরের কথা উল্টো সরকার কথিত শাহবাগ আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী ধর্ম ও রাষ্ট্রদ্রোহী চিহ্নিত ওইসব ব্লগারকে প্রত্যক্ষভাবে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে আসছে। এদিকে ফেসবুক ও ইন্টারনেটে সরকারের অগণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদী আচরণের সমালোচকদের বিরুদ্ধে ধরপাকড় অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি যেসব ব্লগে সরকার ও ধর্মদ্রোহী নাস্তিক ব্লগারদের সমালোচনা করা হয়, সেগুলোও বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। এ নিয়ে বিটিআরসিসহ সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। যদিও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান মিয়া এরই মধ্যে ঘোষণা করেছেন, ধর্মদ্রোহী নাস্তিক ব্লগারদের মূলোত্পাটনে সরকার বদ্ধপরিকর। এরই মধ্যে আহমেদ রাজিবের ‘থাবা বাবা’ নামের ব্লগ বন্ধ করে দিয়েছে বিটিআরসি।
এদিকে সরকারের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করায় ধর্ম ও রাষ্ট্রদ্রোহী এসব ব্লগারের নেতৃত্বদানকারী আসিফ মহিউদ্দিনকে ২০১১ সালের ১ অক্টোবর একবার আটক করে ডিবি পুলিশ। সরকারের বিরুদ্ধে না লেখার মুচলেকা নিয়ে ও বিয়ে করে সংসার করার পরামর্শ দিয়ে তাকে ১৮ ঘণ্টা পরেই ছেড়ে দেয়া হয়। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ফেসবুক ও ব্লগ ব্যবহার করে মহান আল্লাহ, মহানবী হজরত (সা.), পবিত্র কোরআন, ইসলাম ধর্ম ও ইসলামের বিভিন্ন বিধিবিধানের বিরুদ্ধে মিথ্যা, ভিত্তিহীন, কুরুচিপূর্ণ বিষোদ্গারমূলক প্রপাগান্ডা চালায় স্বঘোষিত কিছু নাস্তিক ব্লগার। চিহ্নিত এ ব্লগারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও ব্লগগুলো বন্ধ করে দেয়ার জন্য দু’জন বিশিষ্ট নাগরিকের রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে গত বছর ২১ মার্চ হাইকোর্ট সরকারের প্রতি রুল জারি করে। সেইসঙ্গে ব্লগারদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও ব্লগগুলো বন্ধ করে দেয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করে। হাইকোর্টের এ নির্দেশনার আলোকে বিটিআরসি, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা বর্তমানে কথিত শাহবাগ আন্দোলনের অন্যতম উদ্যোক্ত স্বঘোষিত নাস্তিক আসিফ মহিউদ্দিন ও সম্প্রতি সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত ‘থাবা বাবা’ নামের আলোচিত ব্লগার রাজীব হায়দারসহ বেশ কয়েকজন ব্লগারের আপত্তিকর লেখাগুলো চিহ্নিত করে। সেইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পেশ করে। ‘থাবা বাবা’ নাম ব্যবহার করে আহমেদ রাজীব ‘আমার বাংলা ব্লগ’সহ বিভিন্ন ব্লগে নিয়মিত লিখত। ইংরেজি দৈনিক দি ডেইলি স্টার ও গত ১৭ ফেব্রুয়ারি এক সংবাদেও এটি উল্লেখ করা হয়েছে।
পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের অনুসন্ধান : আদালতের নির্দেশনার আলোকে গত বছর ২০ মে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে এআইজি (সিকিউরিটি সেল) ও আইন কর্মকর্তা মো. আলমগীর আলম স্বাক্ষরিত একটি র্যাব হেডকোয়ার্টার্স, এসবি, সিআইডিসহ বিভিন্ন দফতরে পাঠানো হয়। এতে বলা হয়েছে, ‘উপর্যুক্ত বিষয়ে মহামান্য সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের দায়েরকৃত রিট পিটিশন নং ৮৮৬/২০১২ সংক্রান্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত পত্রের ছায়ালিপি প্রেরণ করা হলো। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পত্রের বরাতে ওই রিট পিটিশনের নির্দেশ মোতাবেক বর্ণিত বিষয়ে তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে তদন্ত অগ্রগতি প্রতিবেদন প্রেরণ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’
পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ ব্যাপক অনুসন্ধান ও তদন্ত শেষে গত বছর ২৩ মে একটি প্রতিবেদন দাখিল করে। স্পেশাল ব্রাঞ্চের এডিশনাল আইজির পক্ষে বিশেষ পুলিশ সুপার (টিএফআই) এসএন মো. নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ওই প্রতিবেদনে ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিনের সামহোয়ার ইন ব্লগে লিখিত ‘কুফুরী কিতাব-হজরত-মহাউম্মাদ ও কোরান-হাদিস রঙ্গ’ এবং ইসলাম ধর্মকে কটাক্ষ করে একই ব্যক্তির লেখা ‘ধার্মিকতা একটি মানসিক ব্যাধি, আসুন আমরা একে প্রতিরোধ করি’ শীর্ষক লেখাগুলোসহ ছয়টি মন্তব্যের বিষয় উল্লেখ করা হয়। স্পেশাল ব্রাঞ্চের এই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এসব ওয়েবসাইট বন্ধ করা উচিত। আর এটা করার একমাত্র দায়িত্ব হচ্ছে বিটিআরসির। সেইসঙ্গে এসব ওয়েবসাইট মনিটরিং করার জন্য বিটিআরসিকে অনুরোধ করা যেতে পারে। পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়ার জন্য পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এ প্রতিবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে পাঠায়। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সৈয়দ মো. আল-আমীন সরকার স্বরাষ্ট্র সচিবের পাঠানো এ প্রতিবেদন গ্রহণ করেন।
র্যাবের অনুসন্ধান : ইসলামবিদ্বেষী ব্লগারদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণসংক্রান্ত উচ্চ আদালতের নির্দেশনার আলোকে র্যাব সদর দফতরও উদ্যোগ নেয়। গত বছর ৩১ মে র্যাবের সব অধিনায়কের কাছে এ বিষয়ে একটি নির্দেশনামাও পাঠানো হয়। স্কোয়াড্রন লিডার ও উপ-পরিচালক (এমআইএস) মোসাম্মত আরজুমান বানু স্বাক্ষরিত অধিনায়কদের উদ্দেশে লেখা একটি চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘উপর্যুক্ত বিষয়ে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন নং ৮৮৬/২০১২-এর আদেশ মোতাবেক আক্রমণাত্মক এবং ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত সংশ্লিষ্ট তথ্য সংবলিত ইন্টারনেট সাইটগুলো ব্লক করতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করাসহ এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত অপরাধীদের চিহ্নিত করার জন্য অনুরোধ জানানো হলো।’ পরে র্যাবের গৃহীত পদক্ষেপ ও কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে র্যাব সদর দফতর থেকে একটি প্রতিবেদন অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়েও পাঠানো হয়। এ প্রতিবেদনটিও গ্রহণ করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সৈয়দ মো. আল-আমিন সরকার। ধর্মের অবমাননাকারী চিহ্নিত ব্লগারদের ধরতে র্যাবের ভূমিকা সম্পর্কে জানতে চাইলে র্যাবের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, এ বিষয়ে তাত্ক্ষণিকভাবেই সরকারের সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল।
বিটিআরসির ভূমিকা : উচ্চ আদালতের নির্দেশনার আলোকে বিটিআরসি গত বছর ৩ জুন অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে একটি প্রতিবেদন পেশ করে। এতে আদালতে উপস্থাপিত ৬টি ওয়েবসাইটের মধ্যে ৪টি ওয়েবসাইট বন্ধ করার কথা বলা হয়। সামহোয়ার ইন বাংলা ব্লগে আসিফ মহিউদ্দিনের লেখা ‘কুফুরী কিতাব-হজরত-মহাউম্মাদ ও কোরান-হাদিস রঙ্গ’ এবং ইসলাম ধর্মকে কটাক্ষ করে একই ব্যক্তির লেখা ‘ধার্মিকতা একটি মানসিক ব্যাধি, আসুন আমরা একে প্রতিরোধ করি’ শীর্ষক ব্লগ দুটি বন্ধের বিষয়ে সরকারের সহযোগিতা চেয়ে বলা হয়েছে যে, এই দুটি ওয়েবসাইট আমাদের এসআইজি ইকুইপমেন্ট সুবিধা ইনস্টল না থাকায় ব্লগ করা যাচ্ছে না। বিটিআরসির লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. মাইদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ প্রতিবেদনটি বিটিআরসির আইন উপদেষ্টার মাধ্যমে আদালতে পেশ করা হয়।
ধর্মবিদ্বেষী এসব ব্লগ ও ওয়েব সাইটগুলো বন্ধের বিষয়ে বিটিআরসির লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং বিভাগের মহাপরিচালক একেএম শহিদুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
সরকার সমালোচকদের ধরপাকড় অব্যাহত : মহানবী হজরত মোহাম্মদ (স.) ও ইসলামের বিভিন্ন বিধি-বিধানকে ব্যঙ্গ ও বিদ্রুপাত্মক মন্তব্য করে বিকৃত রুচির পরিচয়দানকারী কথিত শাহবাগ আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিনসহ অন্য ব্লগারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলেও সরকারের সমালোচকদের ধরপাকড় অব্যাহত রেখেছে সরকার। ওয়েবসাইট ও ফেসবুকসহ ব্লগে কেউ সরকারের বিভিন্ন অগণতান্ত্রিক ও অসহিষ্ণু আচরণের সমালোচনা করলেই একদিনের মধ্যেই সরকার তাকে গ্রেফতার করে আইনে সোপর্দ করছে। অথচ বিটিআরসি ও সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের পরও সরকার ধর্মবিদ্বেষী ব্লগারদের গ্রেফতার তো দূরের কথা উল্টো তাদের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে চলেছে। বিটিআরসির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, বহুদলীয় গণতন্ত্র নিষিদ্ধ করে একদলীয় বাকশাল কায়েম করায় বঙ্গবন্ধুর মৃদু সমালোচনা করে একটি কবিতা লিখেছিলেন তথ্য সচিব আবু করিম। সরকার তাকে শুধু চাকরিচ্যুতই করেনি, তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলাও দিয়েছে। গত চার বছরে ফেসবুক কিংবা ইন্টারনেটে প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের সমালোচনা করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রসহ অসংখ্য ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে জেলে দেয়া হয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের সাজাও হয়েছে। অথচ প্রকাশ্যে ধর্ম ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া চিহ্নিত ব্লগারদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
গ্রেফতারের পর আসিফকে সরকারের বিপক্ষে না লেখার মুচলেকা নিয়ে ছাড় : গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে যে, মহাজোট সরকারের প্রথম দিকে আসিফ মহিউদ্দিন ধর্ম, রাষ্ট্র ও সরকারের সমালোচনা করে সামহোয়ার ইন ব্লগসহ অন্যান্য ব্লগে অত্যন্ত আপত্তিকর মন্তব্য করে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ করাসহ সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিষোদগার করায় গোয়েন্দা পুলিশ ২০১১ সালের ১ অক্টোবর আসিফ মহিউদ্দিনকে ডিবি আটক করে। ব্লগে লেখার বিষয়ে মিন্টু রোডের ডিবি অফিসে তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ১৮ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। ভবিষ্যতে সরকারের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের উসকানিমূলক স্টেটাস ও মন্তব্য না লেখার জন্য পুলিশ তাকে শাসিয়ে দেয়।
এ সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, মিন্টু রোডের গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে এএসপি রফিকুল ইসলাম ব্লগার আসিফকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় বলেন, আপনি আর লিখতে পারবেন না। লেখালেখির দরকার কী, চাকরি-বাকরি করেন। বিয়ে-শাদী করেন। তিনি তাকে (আসিফকে) ফেসবুক, ব্লগ বা অন্য কোনো সামাজিক যোগাযোগ সাইটে কিছু লিখবেন না বলে মুচলেকা দিতে বলেন। গোয়েন্দা কর্মকর্তার এ বক্তব্যের জবাবে আসিফ জানান, এটি তার বাকস্বাধীনতা। এই পর্যায়ে তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলন নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে কোনো সমাবেশ ডাকবেন না বলে মুচলেকা দিতে বলেন। একই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্র কোন এথিকস মানে না। রাষ্ট্র দেখবে আপনি তার পক্ষে না বিপক্ষে। বিপক্ষে গেলেই আপনার ওপর নির্যাতন নেমে আসবে। এ নিয়ে আপনাকে ডিজিএফআইও জিজ্ঞাসাবাদ করবে। পরক্ষণে আসিফ এ মুচলেকা দিয়ে ওইদিনই ছাড়া পান।
সরকার পক্ষের বক্তব্য : ইসলামবিদ্বেষী ব্লগারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিভিন্ন গোয়ন্দা সংস্থার প্রতিবেদন ও সরকারের ভূমিকা নিয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সৈয়দ মো. আল-আমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি আমার দেশ-কে বলেন, সব নথিই আদালতের সেকশনে জমা রয়েছে। সেকশন থেকে নথিগুলো না দেখে আপাতত কোনো মন্তব্য করা সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।

No comments:

Post a Comment

Ad