Ad

Wednesday, February 27, 2013

সাগর-রুনি সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্যে তোপের মুখে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ঢাকা: নিহত সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির পারিবারিক সম্পর্ক নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় তোপের মুখে পড়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর। পরে সাংবাদিকদের আপত্তির কারণে তা তিনি প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন। বুধবার বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের নেতাদের সঙ্গে এক সভায় তিনি সাংবাদিকদের রোষানলে পড়েন। মন্ত্রী ‘উদ্ধৃত’ না করার শর্তে সাগর-রুনির পারিবারিক সম্পর্ক নিয়ে এ মন্তব্য করেছিলেন। পাশাপাশি বলেন, “ঘটনার পরে তাদের পরিচিতির কারণে অনেক সাংবাদিক তাদের বাসায় গেছেন। এ কারণে অনেক আলামত নষ্ট হয়েছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এ পর্যন্ত সাত জনকে গ্রেফতার করেছে। পারিবারিকভাবেও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে কোনো সহায়তা করা হচ্ছে না। তাদের সন্তান মেঘের সঙ্গেও কথা বলা সম্ভব হচ্ছে না।” মন্ত্রী বলেন, “দুজনের ডিএনএর রিপোর্ট আমরা হাতে পেয়েছি। এগুলো এখন গ্রেফতারকৃতদের সঙ্গে মিলেয়ে দেখা হচ্ছে।” ব্লগার রাজীব হত্যা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “রাজিবকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে তা দেখে এবং নমুনা দেখে প্রতীয়মান হয়েছে যে, একাজ জামায়াত-শিবির ছাড়া অন্য কেউ করেনি। এব্যাপারে দ্রুত বিচারকাজ শেষ করা হবে।” তিনি জানান, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাশাপাশি এদের সঙ্গে জড়িতদেরও খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। ১৮ দলীয় যেসব নেতাদের জিহ্বা বড় করে যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় এবং ইসলামী মূল্যবোধে আঘাত করাসহ বিভিন্ন উস্কানিমূলক কথা বলছেন তাদেরও ব্যবস্থা নেয়া হবে। এজন্য দুজন আইজিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলেও মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান। জামায়াত-শিবিরের অতর্কিত হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এ পর্যন্ত চার হাজার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আগে অনেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিজেদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে। আমরা তাদের দলে নই।” তিনি আরো বলেন, “এ পর্যন্ত ৩৩ জন সাংবাদিকের ওপর হামলা করা হয়েছে। পুলিশ নিজেদের মতো করে তদন্ত করছে।” সাংবাদিকদেরও নির্দিষ্ট করে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় এজাহারের আহ্বান জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, “গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় জনগণের দাবিকে অগ্রাধিকার দিয়েই যুদ্ধাপরাধী ও তাদের সহযোগীদের বিচার করা হবে। এটা সরকারেরও দাবি।” সভায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিচারপতি এএফএম মেসবাহ্উদ্দিন, সাংবাদিক শাবান মাহমুদসহ পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

No comments:

Post a Comment

Ad