Ad

Tuesday, February 26, 2013

শাহবাগ রাষ্ট্রের মধ্যে আরেক রাষ্ট্র: মাহমুদুর রহমান


 
  শাহবাগের গণজাগরণকে রাষ্ট্রের মধ্যে আরেকটি রাষ্ট্র হিসেবে অভিহিত করেছেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। মঙ্গলবার রাতে পত্রিকাটির নিজস্ব কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, “শাহবাগ সকল আইনের ঊর্ধ্বে, আদালতেরও ঊর্ধ্বে। শাহবাগ এখন সিদ্ধান্ত নেয় কবে কবে স্কুল-কলেজে জাতীয় পতাকা উড়ানো হবে, জাতীয় সংগীত গাওয়া হবে। এই সিদ্ধান্ত নেয়া অধিকার কেবল রাষ্ট্রের।  এখন শাহবাগ যদি এই সিদ্ধান্ত নেয় তবে নিশ্চয় শাহবাগ অন্য একটি রাষ্ট্র।”

মাহমুদুর রহমান বলেন, “এখন প্রশ্ন হলো এই রাষ্ট্রের মালিক কে? মালিক কি বর্ডারের মধ্যে আছে নাকি বর্ডারের বাইরে? যদি বর্ডারের বাইরে হয় তাহলে সে কে?”

তিনি বলেন, “শাহবাগ এখন ‘জবাই কর জবাই কর’ বলে সন্ত্রাসবাদ উসকে দিচ্ছে। কিন্তু এখন তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। এখন তারা আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেও আদালত তাদের বিরুদ্ধে সুয়ামোটো রুল ইস্যু করছে না। তাহলে এটাই প্রমাণিত হয় শাহবাগ আদালত, সরকার সবার চেয়ে শক্তিশালী।”

মাহমুদুর রহমান বলেন, “আজ দুটো অনলাইন পত্রিকা নতুন বার্তা ডটকম এবং বাংলা নিউজে দুটি রিপোর্ট দেখলাম, আমাকে নিয়ে অত্যন্ত নোংরা ভাষায় সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরী কথা বলেছেন। আমাকে কি এখন ইকবাল সোবহানের কাছ থেকে সাংবাদিকতার সার্টিফিকেট নিতে হবে। উনি কোন পত্রিকার সাংবাদিক আমি জানি না। আপনারা জানতে পারেন। তবে এটা জানি তিনি পাকিস্তান অবজারভার এবং পরে বাংলাদেশ অবজারভারে সম্পাদক ছিলেন। কিন্তু তার হাতেই অবজারভার বন্ধ হয়। ”

ইকবাল সোবহানের সমালোচনা করে মাহমুদুর রহমান বলেন, “বাজারে একটা কথা প্রচলিত আছে। এটা আমার কথা না। সেদিন একাত্তর টেলিভিশনে এক টক শোতে ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত বললেন, স্বাধীনতার পর গোলাম আযমের নাগরিকতা দাবির পত্রে ইকবাল সোবহান নাকি স্বাক্ষর করেছেন। এখন দেখছি বড় রাজাকারও বড় মুক্তিযোদ্ধা হয়ে যায়।”

দৈনিক সমকাল পত্রিকার সম্পাদকের সমালোচনার প্রতিবাদে মাহমুদুর রহমান বলেন, “আমি শুনেছি গোলাম সারওয়ার নাকি বিএনপি জোট সরকারের আমলে একটা বিশেষ ভবনে আসা-যাওয়া করতেন এবং সমকাল পত্রিকার লাইসেন্সটাও নাকি তারেক রহমান করে দিয়েছেন।”

মাহমুদুর রহমান বলেন, “সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের মাধ্যমে ভারতীয় সম্রাজ্যবাদী সংস্কৃতি আমাদের ওপর চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। আমার দেশ ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যে লড়াই শুরু করেছেন, তা মাহমুদুর রহমানের গ্রেফতারের মাধ্যমে বন্ধ হয়ে যাবে না। কারণ সাধারণ মানুষ মনে করে আমার দেশ পত্রিকা তাদের কথা বলে। আর যদি তাই না হতো তাহলে মাত্র ২০ দিনে আমার দেশ পত্রিকার সার্কুলেশন ৭৫ হাজার বেড়ে যেতো না।”

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মাহমুদুর রহমান বলেন, “অনেকে অভিযোগ করছেন আমরা নাকি রাজীবের মৃত্যুর পর তার নামে ফেইক একাউন্ট খুলে  অপপ্রচার করেছি। কিন্তু ২০১২ সালে মার্চ মাসে রাজীবের ব্লগিংয়ের লেখালেখির বিরুদ্ধে হাইকোর্টের যে রুল ইস্যু হয়েছিল সেই রিটে সেসব ডকুমেন্টস জমা দেয়া হয়েছিল সেগুলোই আমি প্রকাশ করেছি।”

No comments:

Post a Comment

Ad