Ad

Tuesday, February 26, 2013

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অফিসের সামনে ঘুষের টাকা নিয়ে হাতাহাতি

টাকার ভাগবাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দন খান আলমগীরে দফতরের সামনে কথা কাটাকাটি ও এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে শাহবাগের আন্দোলনকারীরা স্মারকলিপি প্রদানের পর এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজ দফতর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী লিটন চৌধুরী ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সদস্য আতিকুর রহমান এ ঘটনা ঘটান।

এ সময় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আতিকুর রহমান মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী লিটন চৌধুরীর উদ্দেশে বলেন “তোদের কর্মকাণ্ডের কারণে মন্ত্রী নিজ নির্বাচনী এলাকায় বিশ হাজার ভোটও পাবে না এবং তোরা এই কয়েক মাসে জনগণের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছিস।”

জবাবে লিটন হুমকি দিয়ে বলেন, “তোরা কি করেছিস তা আমার জানা আছে। তোরাও কি কম কামিয়েছিস? আমি তোদের কোন কাজটি করে দেইনি? তোরা নিমকহারাম। আমি চাইলে তোরা একটাও সচিবালয়ে আসতে পারবি না।”

তখন উত্তেজিত হয়ে আতিকুর-লিটনকে বলেন, “তুই আমাকে চ্যালেঞ্জ করিস? আমি যদি চাই তাহলে তুই মন্ত্রণালয়ের ত্রিসীমানায়ও ঘেঁষতে পারবি না। এমনকি তোর নিজ এলাকা কচুয়ায় যাওয়াও বন্ধ করে দেবো।”

আতিকুর আরো বলেন, “লিটন তুই মন্ত্রীর নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন স্থানে টেন্ডারবাজি করেছিস। সম্প্রতি তেজগাঁও বিজি প্রেসের তিনটি টেন্ডার দাখিল করেছিস। অথচ মন্ত্রী কিংবা সচিব এ বিষয়ে কিছুই জানেন না।”

কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতির উপক্রম হলে মন্ত্রীর দফতরে দায়িত্বে থাকা কনস্টেবল অলি, কনস্টেবল রেজা এবং কনস্টেবল এমদাদ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং তাদের দুজনকে সরিয়ে নিয়ে মন্ত্রীর এ পিএস শাহ আলমের দফতরে নিয়ে যান।

আতিকুর ও লিটন, এই দুইজনের গ্রামের বাড়িই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর গ্রাম কচুয়ায়। গত সপ্তাহে এই লিটনের অভিযোগেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী সেলিমকে দুর্নীতির দায়ে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর একান্ত সচিব আমিনুল রহমানের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হলে তিনি বলেন, “আমি ঘটনার কথা শুনতে পেয়েছি। তবে কী ঘটেছে তা দেখিনি।”

No comments:

Post a Comment

Ad