***সাঈদীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ মামলার হালচাল (পর্ব-১)*** সব অভিযোগ ভুয়া প্রমানিত
সাঈদীর বিরুদ্ধে সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ ছিল দুইটি। (১) ভানু সাহাকে ধর্ষন, (২) ইব্রাহিম কুট্টি হত্যা। দুটোই আদালতে মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে।
ভানু সাহা ধর্ষনঃ সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষী দিতে আসা সাক্ষী মাহতাব উদ্দিন
হাটে হাড়ি ভেঙ্গে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সাঈদী নির্দোষ। মাহতাব আরো বলেছেন,
ভানু সাহাকে বিয়ে না করে তার বাড়িতে রেখে নিয়মিত ধর্ষন করতেন আওয়ামী লীগের
মোসলেম মাওলানা,যিনি তৎকালীন শান্তি কমিটির প্রধান ছিলেন। তাছাড়া সম্প্রতি
ভানু সাহা কলকাতায় একটি পত্রিকায় সাক্ষ্যতকার দিয়ে বলেছেন, “আমি সাঈদী
নামে কাউকে চিনিনা এবং আমাকে জড়িয়ে সাঈদীর বিরুদ্ধে যে সাক্ষ্য দেওয়া হয়েছে
তা ডাহা মিথ্যা” . সুতারাং এই অভিযোগ সম্পুর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
ইব্রাহিম কুট্টি হত্যাঃ সাঈদীর বিরুদ্ধে মারাত্নক অভিযোগ ছিল ইব্রাহিম
কুট্টি হত্যা। প্রথমে সরকারের দুজন ভুয়া সাক্ষী বলেছিল, সাঈদীর নির্দেশে
পাক আর্মি ১৯৭১ সালের ৮ই মে ইব্রাহিমকে হত্যা করে। কিন্তু সাঈদীর আইনজীবীরা
আদালতে অকাট্য প্রমাণ উপস্থাপন করে দেখিয়েছেন ইব্রাহীম কুট্টি পারেরহাট
বাজারে ৮ মে নিহত হননি। তিনি তার শ্বশুর বাড়িতে থাকা অবস্থায় ১অক্টোবর,
১৯৭১ সালে নিহত হন। ইব্রাহীম কুট্টির স্ত্রী মমতাজ বেগম দেশ স্বাধীন হবার
পর ১৯৭২ সালের ১৬ জুলাই পিরোজপুর আদালতে ১৩ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা
দায়ের করেন। ১৩ জন আসামীর মধ্যে মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর নাম নেই।
তাই এই অভিযোগ ও মিথ্যা প্রমানিত। ***(চলবে)
No comments:
Post a Comment