Ad

Tuesday, February 26, 2013

টাঙ্গাইলে ছাত্রলীগের আগুনে হতাহত সবাই ছাত্রলীগেরই কর্মী


টাঙ্গাইল শহরে শনিবার ছাত্রলীগের অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিচয় জানা গেছে। তিনি ছাত্রলীগেরই কর্মী সুমন সাহা (২৭)। পুড়ে অঙ্গার মৃতদেহ প্রথমে তরুণীর বলে ধারণা করা হয়েছিল। সুমন সাহা শহরের বেবিস্ট্যান্ড এলাকার মৃত মদনমোহন সাহার ছেলে। গ্রামের বাড়ি বাসাইল উপজেলার হাবলা ইউনিয়নের ভৈরপাড়া। দুপুরে ময়না তদন্তশেষে মৃতদেহ পরিবারে হস্তান্তর করা হয়। সত্কারের জন্য সুমনের লাশ গ্রামের বাড়ি নেয়া হয়েছে।

অগ্নিকাণ্ডে ছাত্রলীগের কর্মী সুমন নিহত ও আটজন অগ্নিদগ্ধ হওয়ার ঘটনায় জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ রাজীব বাদী হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। কারো নাম উল্লেখ না করে অজ্ঞাতনামা ৭০/৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় অভিযোগ করা হয়, শনিবার বিকালে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন পতাকা মিছিল নিয়ে কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার 'কসমস কম্পিউটার সিস্টেম'-এর সামনে ভিক্টোরিয়া রোড অতিক্রম করার সময় উপর থেকে জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা মিছিলের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। মিছিলে অংশগ্রহণকারী ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী তাদের প্রতিহত করার জন্য কম্পিউটার সেন্টারের দোতলায় উঠলে সেন্টারের লোকজন পর পর দুইটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটালে সুমন নিহত ও আটজন আহত হয়।

উল্লেখ্য, কসমস কম্পিউটার সিস্টেমের মালিক খোদা-ই-খিদমতগার টাঙ্গাইল শাখার সেক্রেটারি ও জামায়াত সমর্থক শওকত হোসেন ইমরান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার সময় সেন্টারটিতে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ চলছিল। এ সময় মিছিলকারীদের কয়েকজন সেখানে গিয়ে প্রশিক্ষণার্থীদের বের করে দেয় এবং কম্পিউটারগুলো ভাঙচুর করে। তারা পেট্রোল ঢেলে ঘরের ভিতর আগুন ধরিয়ে দিলেও ঘরের দরোজা অটোলক সিস্টেম হওয়ায় তারা বেরিয়ে আসতে ব্যর্থ হয়। এদিকে দমকল বাহিনী আগুন নেভাতে এলেও মিছিলকারীরা অগ্নিনির্বাপণে বাধা দিয়ে তাদের দুইটি গাড়ি ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ এলে দমকল বাহিনী তাদের সহায়তায় আগুন নেভায় এবং অঙ্গার হয়ে যাওয়া মৃতদেহ ও আহতদের উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। এদের চারজনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

No comments:

Post a Comment

Ad