Ad

Thursday, February 28, 2013

Jayanamaje they stood their execution order - street namo slave of Allah


Sign up today was their delaoyara Quran Sharif Hossain. The quarter was 11 at the court of cotton. Like the other day, he was calm and bright. After the verdict was announced. They listen carefully in a long time. The judge announced his moment of his death penalty. He was still calm and composed. Dhirasthirabhabe stood up. I say stick with it, Mr. ... The verdict of the court judges that violate their oath of evil. Shahbag some atheists, muratada young people and the government grant has been made to me at the bar. I'm not upset at the verdict ...
He did not say he was a supporter of the lawyer and broker eliminate the leaders of the killer. Muntasir Mamun, a group led by nasirauddina iusupha Bachchoo usrnkhala just like the men rush to his side. The gundara kick started.
Beginning in the police cell after bandhidera. Bichiye namaje stood there without leaving their jayanamaja Shop. A minimum of 10 minutes to get the chance to stay there. Namaje stand still when he came out of the Tribunal.
The judge does not have to say it is really speaking their mind. He does not tarahuro balate no. Waiting in the vicinity of the great rabera oli. The protest march in the streets of ... With fresh kill

ফাঁসির আদেশ শুনে জায়নামাজে দাঁড়ালেন মাওলানা-রাস্তায় নামো আল্লাহর বান্দা



আজও মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর হাতে ছিল পবিত্র কোরআন শরীফ। সকাল সোয়া ১১ টার দিকে তাকে আদালতে তুলা হয়। অন্য দিনে মতোই তিনি ছিলেন শান্ত ও উজ্জ্বল। এরপর শুরু হয় রায় ঘোষণা। দীর্ঘ সময় মনোযোগ দিয়ে তিনি রায় শুনেন। যে মুহুর্তে বিচারক ঘোষণা করলেন তার ফাঁসির দণ্ড। তখনও শান্ত ও স্থির তিনি। ধীরস্থিরভাবে উঠে দাঁড়ালেন। হাত উচিয়ে বলতে শুরু করলেন, মাননীয় আদালত...এ রায়ের মাধ্যমে বিচারপতিরা তাদের শপথের নিকৃষ্ট অপব্যবহার করল। শাহবাগে কিছু নাস্তিক, মুরতাদ তরুণ ও সরকারে ইচ্ছায় আমাকে এ দণ্ড দেয়া হয়েছে । আমি এ রায়ে বিচলিত নই...

এরপর তাকে আর বলতে দিল না আওয়ামী সমর্থক আইনজীবী ও উপস্থিত ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নেতারা। মুনতাসির মামুন, নাসিরউদ্দিন ইউসূফ বাচ্চুর নেতৃত্বে একদল উশৃঙ্খল চুপ চুপ বলে তার দিকে তেড়ে গেলেন। আওয়ামী গুণ্ডারা হট্টগোল শুরু করলেন।

পরে পুলিশ তাকে নিজে বন্ধীদের কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়েই জায়নামাজ বিছিয়ে নামাজে দাঁড়ালেন মাওলানা সাঈদী। এ অধম ১০ মিনিটের মতো সেখানে উপস্থিত থাকার সুযোগ পান। যখন ট্রাইব্যুনাল থেকে বেরিয়ে আসেন তখনও নামাজে দাঁড়ানো ছিলেন তিনি।

হয়তো বিচারকের কাছে বলতে না পেরে আল্লাহর কাছেই মনের কথা বলছেন মাওলানা। সে বলাতে কোন তারাহুড়ো নেই। হয়তো মহান রবের সান্নিধ্যের অপেক্ষায় এ আল্লাহর ওলি। চলো আমরা সবাই রাস্তায় নেমে এর প্রতিবাদ করি... তাজা খুন দিয়ে

রায় শোনামাত্র হার্ট অ্যাটাকে মারা গেলেন কলেজ অধ্যক্ষ

রংপুর প্রিতিনিধ: মাওলানা দেলওয়ার হোসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায় টেলিভিশনে শোনামাত্র হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের এক কলেজ অধ্যক্ষ। এ ঘটনায় সেখানে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে সকাল থেকেই সুন্দরগঞ্জ ডি ডব্লিউ ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ বজলুর রশিদ সকাল থেকেই টেলিভিশনে সাঈদীর রায়ের ঘটনা পরম্পরা দেখছিলেন। শেষ মুহুর্তে এসে ফাঁসির আদেশ দেয়া মাত্রই তিনি সেখানে হার্ট অ্যাটাক করে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে তাকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পর প্রবীণ এই শিক্ষাবিদকে দেখতে হাসাপাথে ভিড় জমান হাজার হাজার মানুষ। প্রফেসর বজলুর রশিদ মাওলানা সাঈদীর একজন অনুরক্ত ও ভক্ত ছিলেন বলে জানিয়েছেন তার পরিবার ও স্বজনরা। হার্ট এ্যাটাকে মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুন্দরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মাহবুবুর রহমান । এদিকে সকাল থেকেই সুন্দরগঞ্জে হাজার হাজার মানুষ হরতালের সর্মথনে সুন্দরগঞ্জের রাজপথ দখল করে নেয়। থানার সামন দিয়ে মিছিল যাওয়ার সময় পুলিশ বাঁধা দিলে সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল মারে। এ ঘটনায় ৩ পুলিশসহ ৩০ জন আহত হয়। এ ঘটনার পর বিুব্ধ জনতা পুলিশকে থানায় অবরুদ্ধ করে রাখে। বেলা পৌনে ৩ টায় এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত সেখানে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছিল। গ্রামগঞ্জ থেকে মানুষ সাঈদীর রায় মানি না- শ্লোগান দিয়ে সুন্দরগঞ্জ শহর মুখে আসছিল। - See more at: http://www.banglasongbad24.com/index.php/content/news/3236#sthash.oWVs3r0I.dpuf

Wednesday, February 27, 2013

সাগর-রুনি সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্যে তোপের মুখে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ঢাকা: নিহত সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির পারিবারিক সম্পর্ক নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় তোপের মুখে পড়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর। পরে সাংবাদিকদের আপত্তির কারণে তা তিনি প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন। বুধবার বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের নেতাদের সঙ্গে এক সভায় তিনি সাংবাদিকদের রোষানলে পড়েন। মন্ত্রী ‘উদ্ধৃত’ না করার শর্তে সাগর-রুনির পারিবারিক সম্পর্ক নিয়ে এ মন্তব্য করেছিলেন। পাশাপাশি বলেন, “ঘটনার পরে তাদের পরিচিতির কারণে অনেক সাংবাদিক তাদের বাসায় গেছেন। এ কারণে অনেক আলামত নষ্ট হয়েছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এ পর্যন্ত সাত জনকে গ্রেফতার করেছে। পারিবারিকভাবেও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে কোনো সহায়তা করা হচ্ছে না। তাদের সন্তান মেঘের সঙ্গেও কথা বলা সম্ভব হচ্ছে না।” মন্ত্রী বলেন, “দুজনের ডিএনএর রিপোর্ট আমরা হাতে পেয়েছি। এগুলো এখন গ্রেফতারকৃতদের সঙ্গে মিলেয়ে দেখা হচ্ছে।” ব্লগার রাজীব হত্যা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “রাজিবকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে তা দেখে এবং নমুনা দেখে প্রতীয়মান হয়েছে যে, একাজ জামায়াত-শিবির ছাড়া অন্য কেউ করেনি। এব্যাপারে দ্রুত বিচারকাজ শেষ করা হবে।” তিনি জানান, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাশাপাশি এদের সঙ্গে জড়িতদেরও খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। ১৮ দলীয় যেসব নেতাদের জিহ্বা বড় করে যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় এবং ইসলামী মূল্যবোধে আঘাত করাসহ বিভিন্ন উস্কানিমূলক কথা বলছেন তাদেরও ব্যবস্থা নেয়া হবে। এজন্য দুজন আইজিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলেও মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান। জামায়াত-শিবিরের অতর্কিত হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এ পর্যন্ত চার হাজার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আগে অনেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিজেদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে। আমরা তাদের দলে নই।” তিনি আরো বলেন, “এ পর্যন্ত ৩৩ জন সাংবাদিকের ওপর হামলা করা হয়েছে। পুলিশ নিজেদের মতো করে তদন্ত করছে।” সাংবাদিকদেরও নির্দিষ্ট করে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় এজাহারের আহ্বান জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, “গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় জনগণের দাবিকে অগ্রাধিকার দিয়েই যুদ্ধাপরাধী ও তাদের সহযোগীদের বিচার করা হবে। এটা সরকারেরও দাবি।” সভায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিচারপতি এএফএম মেসবাহ্উদ্দিন, সাংবাদিক শাবান মাহমুদসহ পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

A bold new education effort in Bangladesh


Enterprising young teachers aim to break the cycle of poverty by providing English-language education for the poorest of the poor.
 
She may be labelled by some as underprivileged, but Class III student Shamima Hossain Lily has big dreams. The 14-year-old plans to be a psychologist one day.
  • Watched by a classroom facilitator, children at the JAAGO School in Gazipur listen to their teacher in Dhaka over video conferencing technology. The school, the first of its kind in Bangladesh, is using technology to address a shortage of qualified teachers in the area. [Photo courtesy of JAAGO Foundation] Watched by a classroom facilitator, children at the JAAGO School in Gazipur listen to their teacher in Dhaka over video conferencing technology. The school, the first of its kind in Bangladesh, is using technology to address a shortage of qualified teachers in the area. [Photo courtesy of JAAGO Foundation]
  • JAAGO students and their teacher in Rayerbazar, Dhaka celebrate Independence Day with the original flag of Bangladesh on March 26th, 2009.The school admits children whose families earn less than $2 a day. [Photo courtesy of JAAGO Foundation] JAAGO students and their teacher in Rayerbazar, Dhaka celebrate Independence Day with the original flag of Bangladesh on March 26th, 2009.The school admits children whose families earn less than $2 a day. [Photo courtesy of JAAGO Foundation]
  • Korvi Rakshand, 27, began the work that became the JAAGO Foundation five years ago. [Abdullah Apu/Khabar] Korvi Rakshand, 27, began the work that became the JAAGO Foundation five years ago. [Abdullah Apu/Khabar]

Her father Delowar Hossain, a construction worker, makes about Tk 5,000 ($62.3) a month, while her mother Monoara is a homemaker. But Lily hit her academic stride once she joined the JAAGO Foundation School.
"JAAGO's teaching style, countless workshops aimed at mental health development and its library have changed me for good," said Lily, who attends the JAAGO school in Rayerbazar of Dhaka.
JAAGO, which means "rise" in Bengali, began as one man's hobby helping a few poor kids, and grew into an ambitious vision: that of providing quality, free, English-language school in every district of Bangladesh for students whose family income is less than $2 a day.
Growing pains
Growing up in an affluent family in Dhaka, Korvi Rakshand was expected to take over the family business when he completed his education. But at the age of 21, his life took an unexpected turn.
Hoping to give underprivileged kids a leg up, he and some friends rented a room in the Rayerbazar slum area and, in November 2007, began teaching 17 kids English.
"It was not a school. It was more like a place where some children came to learn English from me," Rakshand told Khabar. "A few days later, these children asked me, 'Sir, when will we be promoted?' Their enthusiasm motivated me to open up a school."
As the effort progressed, the young teachers encountered various obstacles. Each new problem spawned a new programme to address it.
After receiving a $300 donation from an uncle, they decided to provide students with uniforms. "The students were very happy," Rakshand recalled. But the happiness was short-lived.
"A week later, they began coming in dirty uniforms. We realised they were not buying soap as they hardly have the money to have three straight meals per day. They did not have any concept of brushing their teeth or washing their hands. This got us to initiate the hygiene programme. A month later, our teachers told us that most of them are tired and dozing off in class due to lack of nutrition. We began giving them food then," he said.
"Although initially our plan was to provide free English medium education to the children, as time passed, our causes gradually branched out from this core to other areas like women empowerment for their mothers, and clean water for the children."
Over the next few years, despite many obstacles, JAAGO became a foundation overseeing six schools with 70 teachers, serving some 1,200 children; a first aid centre, a sewing centre and a pilot project on computer-facilitated learning.
The schools are located in Korail and Rayerbazar in Dhaka, and in Tongi, Rajshahi, Chittagong and Gaibandha districts.
"Two more JAAGO schools are in the pipeline," Rakshand told Khabar, adding that the aim is ultimately to "have a JAAGO school at each of the 64 districts in Bangladesh and in other South Asian countries".
Injecting new ideas
To realise that dream, he is experimenting with educational technology – software like Webex, which can connect teachers with students remotely via a webcam and projector, and Smartboard, a sort of electronic syllabus that can be used in areas with no Internet connectivity.
"This is still running on a pilot project. A board contains a syllabus from KG to Class 12. Only a computer operator is required to click on the board that will provide the lessons to students in the classroom," he said.
Equipment was donated by digital content distributor Core Knowledge. JAAGO Foundation also receives support from the government, the UN Developmental Programme (UNDP), UN Habitat, Global Fund for Children, World Bank and the private sector.
But teachers' pay and education expenses come primarily from sponsorships, according to Rakshand.
"The sponsorship model is very simple. Anybody can support education of any of these children at Tk 1,500 or $20 per month. 80% to 90% of our funds come from the sponsorship model," he said.
Rakshand says that before launching his own organisation; he approached existing schools, and found them resistant to change and new ideas.
"My point to them was to initiate a school that would provide the education to these underprivileged children in English as, although this is a second language in Bangladesh, this would really help them when they go abroad for jobs or even look for work here. These people I went to thought I am crazy," he told Khabar.
His unorthodox thinking is a welcome challenge to the status quo, one observer says.
"JAAGO's initiatives are definitely having a positive impact on the education system in Bangladesh," said Nazim Farhan Choudhury, managing director of Adcomm Limited, an advertising firm, in Dhaka.
"In fact, the initiative of taking English education to the grassroots has changed the paradigm of education entirely in Bangladesh," he added.  

সেইফ হাউজের রেজিস্টার বুক দেখুন

সেইফ হাউজের রেজিস্টার বুক দেখুন https://www.facebook.com/photo.php?fbid=337181923019488&set=a.359443674126646.77370.257332664337748&type=1&theater

শাহবাগের আন্দোলনে ভারতের সমর্থন রয়েছে

টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার ব্যস্ততম শাহবাগ মোড়ের আন্দোলনকারীদের প্রতি ভারতের জোরালো সমর্থন রয়েছে। ভারতের প্রভাবশালী পত্রিকা টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে গতকাল এ কথা বলা হয়েছে। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেনন গত শুক্রবার বলেন, বাংলাদেশের আন্দোলনকারী ওই সব তরুণের মধ্যে মুক্তমনের পরিচয় ফুটে উঠেছে। তারা উগ্রপন্থার বিরুদ্ধে লড়ছে এবং গণতন্ত্রের মৌলিক মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখতে চাইছে। পুনেতে রাম শাঠে চেয়ার প্রতিষ্ঠার এক অনুষ্ঠানে শিবশঙ্কর মেনন আরো বলেন, ‘উগ্রপন্থী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে শাহবাগের চলমান আন্দোলনে হাজার হাজার তরুণের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি থেকে বাংলাদেশী তরুণদের দৃঢ় অনুভূতি, রাজনৈতিকভাবে জনগণকে সমবেত করার ক্ষমতা ও তাদের মুক্তমনের পরিচয়ই ফুটে উঠেছে’।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশিদ বাংলাদেশে তার সাম্প্রতিক সফরকালে শাহবাগের আন্দোলনকারীদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছেন। ঢাকায় সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে খুরশিদ বলেছেন, ‘তরুণসমাজকে যেকোনো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে দেখা সবসময়ই আনন্দের বিষয়।’
তারা তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করছে, আন্দোলনে জড়িত হচ্ছে, তাদের আকাক্সার কথা তুলে ধরছে, আমি তাদের এই মনোভাবের প্রশংসা করি। গণতন্ত্রে এভাবেই আপনার জোরালো অনুভূতি ও বিশ্বাস প্রকাশ পায়।”
গত ৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল আবদুল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদানের পর শাহবাগে এই আন্দোলন শুরু হয়। তারা তখন থেকেই রাজপথে আছে এবং সব যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির দাবি করছে। একই সাথে তারা ইসলামি রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করারও দাবি জানাচ্ছে। দলটির নেতাকর্মীরা ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগীর ভূমিকা পালন করেছে বলে মনে করা হয়।

সাঈদীর বিরুদ্ধের সব অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত

***সাঈদীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ মামলার হালচাল (পর্ব-১)*** সব অভিযোগ ভুয়া প্রমানিত
সাঈদীর বিরুদ্ধে সবচেয়ে গুরুতর অভিযোগ ছিল দুইটি। (১) ভানু সাহাকে ধর্ষন, (২) ইব্রাহিম কুট্টি হত্যা। দুটোই আদালতে মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে।

ভানু সাহা ধর্ষনঃ সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষী দিতে আসা সাক্ষী মাহতাব উদ্দিন হাটে হাড়ি ভেঙ্গে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সাঈদী নির্দোষ। মাহতাব আরো বলেছেন, ভানু সাহাকে বিয়ে না করে তার বাড়িতে রেখে নিয়মিত ধর্ষন করতেন আওয়ামী লীগের মোসলেম মাওলানা,যিনি তৎকালীন শান্তি কমিটির প্রধান ছিলেন। তাছাড়া সম্প্রতি ভানু সাহা কলকাতায় একটি পত্রিকায় সাক্ষ্যতকার দিয়ে বলেছেন, “আমি সাঈদী নামে কাউকে চিনিনা এবং আমাকে জড়িয়ে সাঈদীর বিরুদ্ধে যে সাক্ষ্য দেওয়া হয়েছে তা ডাহা মিথ্যা” . সুতারাং এই অভিযোগ সম্পুর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

ইব্রাহিম কুট্টি হত্যাঃ সাঈদীর বিরুদ্ধে মারাত্নক অভিযোগ ছিল ইব্রাহিম কুট্টি হত্যা। প্রথমে সরকারের দুজন ভুয়া সাক্ষী বলেছিল, সাঈদীর নির্দেশে পাক আর্মি ১৯৭১ সালের ৮ই মে ইব্রাহিমকে হত্যা করে। কিন্তু সাঈদীর আইনজীবীরা আদালতে অকাট্য প্রমাণ উপস্থাপন করে দেখিয়েছেন ইব্রাহীম কুট্টি পারেরহাট বাজারে ৮ মে নিহত হননি। তিনি তার শ্বশুর বাড়িতে থাকা অবস্থায় ১অক্টোবর, ১৯৭১ সালে নিহত হন। ইব্রাহীম কুট্টির স্ত্রী মমতাজ বেগম দেশ স্বাধীন হবার পর ১৯৭২ সালের ১৬ জুলাই পিরোজপুর আদালতে ১৩ জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ১৩ জন আসামীর মধ্যে মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর নাম নেই। তাই এই অভিযোগ ও মিথ্যা প্রমানিত। ***(চলবে)

ইসলামবিদ্বেষী ব্লগারদের ধরতে গোয়েন্দা সুপারিশ আমলে নেয়নি সরকার : আটকের পর আসিফকে সরকারের পক্ষে লেখা ও বিয়ে করার পরামর্শ দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়

 আসিফ যে নাস্তিকবাদী লেখক তার প্রমাণ এই লিংক পড়লেই জানা যাবে।
http://www.somewhereinblog.net/blog/mondovalo/29458689
মহান আল্লাহ, মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.), সাহাবায়ে কেরাম ও নামাজ, রোজা, হজসহ পবিত্র ইসলামের বিভিন্ন বিধিবিধানকে কটাক্ষ করে কুিসত ও উগ্র মন্তব্যকারী ব্লগারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সুপারিশ আমলে নেয়নি সরকার। দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা রক্ষার স্বার্থে ধর্মীয় মূল্যবোধের ওপর চরমভাবে আঘাত প্রদানকারী এসব ব্লগারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রায় এক বছর আগেই সরকারের কাছে প্রতিবেদন দেয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। পাশাপাশি ওইসব ব্লগারের ব্যবহার করা ব্লগ ও ফেসবুক স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়ার জন্য সরকারের সহযোগিতা চেয়ে চিঠি লেখে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি)।
উচ্চ আদালতের একটি নির্দেশনার ভিত্তিতে এ সংস্থাগুলো সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরে এ ধরনের সুপারিশ করলেও এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়া তো দূরের কথা উল্টো সরকার কথিত শাহবাগ আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী ধর্ম ও রাষ্ট্রদ্রোহী চিহ্নিত ওইসব ব্লগারকে প্রত্যক্ষভাবে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে আসছে। এদিকে ফেসবুক ও ইন্টারনেটে সরকারের অগণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদী আচরণের সমালোচকদের বিরুদ্ধে ধরপাকড় অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি যেসব ব্লগে সরকার ও ধর্মদ্রোহী নাস্তিক ব্লগারদের সমালোচনা করা হয়, সেগুলোও বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। এ নিয়ে বিটিআরসিসহ সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। যদিও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান মিয়া এরই মধ্যে ঘোষণা করেছেন, ধর্মদ্রোহী নাস্তিক ব্লগারদের মূলোত্পাটনে সরকার বদ্ধপরিকর। এরই মধ্যে আহমেদ রাজিবের ‘থাবা বাবা’ নামের ব্লগ বন্ধ করে দিয়েছে বিটিআরসি।
এদিকে সরকারের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করায় ধর্ম ও রাষ্ট্রদ্রোহী এসব ব্লগারের নেতৃত্বদানকারী আসিফ মহিউদ্দিনকে ২০১১ সালের ১ অক্টোবর একবার আটক করে ডিবি পুলিশ। সরকারের বিরুদ্ধে না লেখার মুচলেকা নিয়ে ও বিয়ে করে সংসার করার পরামর্শ দিয়ে তাকে ১৮ ঘণ্টা পরেই ছেড়ে দেয়া হয়। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ফেসবুক ও ব্লগ ব্যবহার করে মহান আল্লাহ, মহানবী হজরত (সা.), পবিত্র কোরআন, ইসলাম ধর্ম ও ইসলামের বিভিন্ন বিধিবিধানের বিরুদ্ধে মিথ্যা, ভিত্তিহীন, কুরুচিপূর্ণ বিষোদ্গারমূলক প্রপাগান্ডা চালায় স্বঘোষিত কিছু নাস্তিক ব্লগার। চিহ্নিত এ ব্লগারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও ব্লগগুলো বন্ধ করে দেয়ার জন্য দু’জন বিশিষ্ট নাগরিকের রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে গত বছর ২১ মার্চ হাইকোর্ট সরকারের প্রতি রুল জারি করে। সেইসঙ্গে ব্লগারদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও ব্লগগুলো বন্ধ করে দেয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করে। হাইকোর্টের এ নির্দেশনার আলোকে বিটিআরসি, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা বর্তমানে কথিত শাহবাগ আন্দোলনের অন্যতম উদ্যোক্ত স্বঘোষিত নাস্তিক আসিফ মহিউদ্দিন ও সম্প্রতি সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত ‘থাবা বাবা’ নামের আলোচিত ব্লগার রাজীব হায়দারসহ বেশ কয়েকজন ব্লগারের আপত্তিকর লেখাগুলো চিহ্নিত করে। সেইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পেশ করে। ‘থাবা বাবা’ নাম ব্যবহার করে আহমেদ রাজীব ‘আমার বাংলা ব্লগ’সহ বিভিন্ন ব্লগে নিয়মিত লিখত। ইংরেজি দৈনিক দি ডেইলি স্টার ও গত ১৭ ফেব্রুয়ারি এক সংবাদেও এটি উল্লেখ করা হয়েছে।
পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের অনুসন্ধান : আদালতের নির্দেশনার আলোকে গত বছর ২০ মে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে এআইজি (সিকিউরিটি সেল) ও আইন কর্মকর্তা মো. আলমগীর আলম স্বাক্ষরিত একটি র্যাব হেডকোয়ার্টার্স, এসবি, সিআইডিসহ বিভিন্ন দফতরে পাঠানো হয়। এতে বলা হয়েছে, ‘উপর্যুক্ত বিষয়ে মহামান্য সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের দায়েরকৃত রিট পিটিশন নং ৮৮৬/২০১২ সংক্রান্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত পত্রের ছায়ালিপি প্রেরণ করা হলো। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পত্রের বরাতে ওই রিট পিটিশনের নির্দেশ মোতাবেক বর্ণিত বিষয়ে তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে তদন্ত অগ্রগতি প্রতিবেদন প্রেরণ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’
পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ ব্যাপক অনুসন্ধান ও তদন্ত শেষে গত বছর ২৩ মে একটি প্রতিবেদন দাখিল করে। স্পেশাল ব্রাঞ্চের এডিশনাল আইজির পক্ষে বিশেষ পুলিশ সুপার (টিএফআই) এসএন মো. নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ওই প্রতিবেদনে ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিনের সামহোয়ার ইন ব্লগে লিখিত ‘কুফুরী কিতাব-হজরত-মহাউম্মাদ ও কোরান-হাদিস রঙ্গ’ এবং ইসলাম ধর্মকে কটাক্ষ করে একই ব্যক্তির লেখা ‘ধার্মিকতা একটি মানসিক ব্যাধি, আসুন আমরা একে প্রতিরোধ করি’ শীর্ষক লেখাগুলোসহ ছয়টি মন্তব্যের বিষয় উল্লেখ করা হয়। স্পেশাল ব্রাঞ্চের এই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এসব ওয়েবসাইট বন্ধ করা উচিত। আর এটা করার একমাত্র দায়িত্ব হচ্ছে বিটিআরসির। সেইসঙ্গে এসব ওয়েবসাইট মনিটরিং করার জন্য বিটিআরসিকে অনুরোধ করা যেতে পারে। পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়ার জন্য পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স এ প্রতিবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে পাঠায়। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সৈয়দ মো. আল-আমীন সরকার স্বরাষ্ট্র সচিবের পাঠানো এ প্রতিবেদন গ্রহণ করেন।
র্যাবের অনুসন্ধান : ইসলামবিদ্বেষী ব্লগারদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণসংক্রান্ত উচ্চ আদালতের নির্দেশনার আলোকে র্যাব সদর দফতরও উদ্যোগ নেয়। গত বছর ৩১ মে র্যাবের সব অধিনায়কের কাছে এ বিষয়ে একটি নির্দেশনামাও পাঠানো হয়। স্কোয়াড্রন লিডার ও উপ-পরিচালক (এমআইএস) মোসাম্মত আরজুমান বানু স্বাক্ষরিত অধিনায়কদের উদ্দেশে লেখা একটি চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘উপর্যুক্ত বিষয়ে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন নং ৮৮৬/২০১২-এর আদেশ মোতাবেক আক্রমণাত্মক এবং ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত সংশ্লিষ্ট তথ্য সংবলিত ইন্টারনেট সাইটগুলো ব্লক করতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করাসহ এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত অপরাধীদের চিহ্নিত করার জন্য অনুরোধ জানানো হলো।’ পরে র্যাবের গৃহীত পদক্ষেপ ও কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কে র্যাব সদর দফতর থেকে একটি প্রতিবেদন অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়েও পাঠানো হয়। এ প্রতিবেদনটিও গ্রহণ করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সৈয়দ মো. আল-আমিন সরকার। ধর্মের অবমাননাকারী চিহ্নিত ব্লগারদের ধরতে র্যাবের ভূমিকা সম্পর্কে জানতে চাইলে র্যাবের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, এ বিষয়ে তাত্ক্ষণিকভাবেই সরকারের সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছিল।
বিটিআরসির ভূমিকা : উচ্চ আদালতের নির্দেশনার আলোকে বিটিআরসি গত বছর ৩ জুন অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে একটি প্রতিবেদন পেশ করে। এতে আদালতে উপস্থাপিত ৬টি ওয়েবসাইটের মধ্যে ৪টি ওয়েবসাইট বন্ধ করার কথা বলা হয়। সামহোয়ার ইন বাংলা ব্লগে আসিফ মহিউদ্দিনের লেখা ‘কুফুরী কিতাব-হজরত-মহাউম্মাদ ও কোরান-হাদিস রঙ্গ’ এবং ইসলাম ধর্মকে কটাক্ষ করে একই ব্যক্তির লেখা ‘ধার্মিকতা একটি মানসিক ব্যাধি, আসুন আমরা একে প্রতিরোধ করি’ শীর্ষক ব্লগ দুটি বন্ধের বিষয়ে সরকারের সহযোগিতা চেয়ে বলা হয়েছে যে, এই দুটি ওয়েবসাইট আমাদের এসআইজি ইকুইপমেন্ট সুবিধা ইনস্টল না থাকায় ব্লগ করা যাচ্ছে না। বিটিআরসির লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. মাইদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ প্রতিবেদনটি বিটিআরসির আইন উপদেষ্টার মাধ্যমে আদালতে পেশ করা হয়।
ধর্মবিদ্বেষী এসব ব্লগ ও ওয়েব সাইটগুলো বন্ধের বিষয়ে বিটিআরসির লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং বিভাগের মহাপরিচালক একেএম শহিদুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
সরকার সমালোচকদের ধরপাকড় অব্যাহত : মহানবী হজরত মোহাম্মদ (স.) ও ইসলামের বিভিন্ন বিধি-বিধানকে ব্যঙ্গ ও বিদ্রুপাত্মক মন্তব্য করে বিকৃত রুচির পরিচয়দানকারী কথিত শাহবাগ আন্দোলনের নেতৃত্বদানকারী ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিনসহ অন্য ব্লগারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলেও সরকারের সমালোচকদের ধরপাকড় অব্যাহত রেখেছে সরকার। ওয়েবসাইট ও ফেসবুকসহ ব্লগে কেউ সরকারের বিভিন্ন অগণতান্ত্রিক ও অসহিষ্ণু আচরণের সমালোচনা করলেই একদিনের মধ্যেই সরকার তাকে গ্রেফতার করে আইনে সোপর্দ করছে। অথচ বিটিআরসি ও সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের পরও সরকার ধর্মবিদ্বেষী ব্লগারদের গ্রেফতার তো দূরের কথা উল্টো তাদের পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে চলেছে। বিটিআরসির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, বহুদলীয় গণতন্ত্র নিষিদ্ধ করে একদলীয় বাকশাল কায়েম করায় বঙ্গবন্ধুর মৃদু সমালোচনা করে একটি কবিতা লিখেছিলেন তথ্য সচিব আবু করিম। সরকার তাকে শুধু চাকরিচ্যুতই করেনি, তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলাও দিয়েছে। গত চার বছরে ফেসবুক কিংবা ইন্টারনেটে প্রধানমন্ত্রী ও সরকারের সমালোচনা করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রসহ অসংখ্য ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে জেলে দেয়া হয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের সাজাও হয়েছে। অথচ প্রকাশ্যে ধর্ম ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া চিহ্নিত ব্লগারদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
গ্রেফতারের পর আসিফকে সরকারের বিপক্ষে না লেখার মুচলেকা নিয়ে ছাড় : গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে যে, মহাজোট সরকারের প্রথম দিকে আসিফ মহিউদ্দিন ধর্ম, রাষ্ট্র ও সরকারের সমালোচনা করে সামহোয়ার ইন ব্লগসহ অন্যান্য ব্লগে অত্যন্ত আপত্তিকর মন্তব্য করে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ করাসহ সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিষোদগার করায় গোয়েন্দা পুলিশ ২০১১ সালের ১ অক্টোবর আসিফ মহিউদ্দিনকে ডিবি আটক করে। ব্লগে লেখার বিষয়ে মিন্টু রোডের ডিবি অফিসে তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ১৮ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। ভবিষ্যতে সরকারের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের উসকানিমূলক স্টেটাস ও মন্তব্য না লেখার জন্য পুলিশ তাকে শাসিয়ে দেয়।
এ সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, মিন্টু রোডের গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে এএসপি রফিকুল ইসলাম ব্লগার আসিফকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় বলেন, আপনি আর লিখতে পারবেন না। লেখালেখির দরকার কী, চাকরি-বাকরি করেন। বিয়ে-শাদী করেন। তিনি তাকে (আসিফকে) ফেসবুক, ব্লগ বা অন্য কোনো সামাজিক যোগাযোগ সাইটে কিছু লিখবেন না বলে মুচলেকা দিতে বলেন। গোয়েন্দা কর্মকর্তার এ বক্তব্যের জবাবে আসিফ জানান, এটি তার বাকস্বাধীনতা। এই পর্যায়ে তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলন নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে কোনো সমাবেশ ডাকবেন না বলে মুচলেকা দিতে বলেন। একই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্র কোন এথিকস মানে না। রাষ্ট্র দেখবে আপনি তার পক্ষে না বিপক্ষে। বিপক্ষে গেলেই আপনার ওপর নির্যাতন নেমে আসবে। এ নিয়ে আপনাকে ডিজিএফআইও জিজ্ঞাসাবাদ করবে। পরক্ষণে আসিফ এ মুচলেকা দিয়ে ওইদিনই ছাড়া পান।
সরকার পক্ষের বক্তব্য : ইসলামবিদ্বেষী ব্লগারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিভিন্ন গোয়ন্দা সংস্থার প্রতিবেদন ও সরকারের ভূমিকা নিয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সৈয়দ মো. আল-আমিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি আমার দেশ-কে বলেন, সব নথিই আদালতের সেকশনে জমা রয়েছে। সেকশন থেকে নথিগুলো না দেখে আপাতত কোনো মন্তব্য করা সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।

হোয়াইট হাউজ পিটিশনে যোগ দিন, মজলুমের পক্ষে আওয়াজ উঠান এবং অবৈধ ট্রাইবোনালে সম্পর্কে সারা বিশ্বের মানুষ ধারনা দিন।



‡nvqvBU nvDR wcwUk‡b †hvM w`b, gRjy‡gi c‡¶ AvIqvR DVvb Ges A‰ea UªvB‡evbv‡j m¤ú‡K© mviv we‡k¦i gvbyl‡K avibv w`b|
‡nvqvBU nvDR wcwUk‡b †hvM w`b| hw` 1 j¶ ¯^v¶i c‡o Zvn‡j ¯^qs †cÖwm‡W›U Ievgv GUv wb‡q AvbyôvwbK evZv© †`‡eb|
wcwUkbUv †Lvjv n‡q‡Q Gi Awdwmqvj †cB‡R| GUvq 25 nvRvi ¯^v¶i co‡j †Kv‡bv GKRb Kg©Pvix GUv wb‡q e³e¨ w`‡eb| hw` 1 j¶ ¯^v¶i c‡o Zvn‡j ¯^qs †cÖwm‡W›U Ievgv GUv wb‡q AvbyôvwbK evZv© w`‡eb|

UªvBeybv‡ji AwePvi Ges kvnevM †_‡K Òdvuwm dvuwm dvuwm PvB, dvuvwm Qvov wePvi bvBÓ G ai‡bi d¨vwmó Av‡›`vj‡bi cÖwZ gvwK©b hy³iv‡óªi †cÖwm‡W›U‡K D‡ØM Rvbv‡bvi Rb¨ BmjvgxK †mvmvBwU Ad b_© Av‡gwiKv, Bmjvgx mv‡K©j Ad b_© Av‡gwiKvi D‡`¨‡M GB wcwUkb `v‡qi Kiv n‡q‡Q| mevB GBLv‡b wM‡qÒ Create an Account by  https://petitions.whitehouse.gov/petition/against-international-war-crime-tribunal-and-mob-justice-bangladesh/KJtvpjrj
wcwUkbwUi wb‡P †jLv Av‡Q Crear an Account. G wK¬K Ki“b| Zvici Avcbvi bvg, bv w`‡j Pj‡e, B‡gBj G‡Wªm w`‡q GKvD›U Lyjyb| Gevi GKvD›U mvBbAv‡ci c‡i GKwU B-‡gBj ¯^qswµqfv‡e Avcbvi B‡gB‡j P‡j hv‡e| B‡gBj Bbe‡· †PK Ki“b| †`L‡eb whitehouse.gov ‡_‡K GKwU †g‡mR G‡m‡Q| †g‡mRwU Lyjyb, †`L‡eb GKwU wjsK †`qv Av‡Q|


Once you've verified your email address, click on this link or copy and paste 
it into your web browser to update your profile or change your password:


More information about WhiteHouse.gov accounts is available in the 
WhiteHouse.gov's Privacy Policy (http://www.whitehouse.gov/privacy) and the 
Terms of Participation 
People.

wjsKwU‡Z wK¬K Ki“b, wcwUkbwU Avevi I‡cb n‡e| Gevi wcwUkbwUi wb‡P hvb Ges  wK¬K Ki“b| (†gvevBj w`‡qI GKBfv‡e Kiv hv‡e|

GB B‡f›UwU †kqvi Ki“b| mKj ag©cÖvY gymjgv‡bi wbKU|

শাহবাগ আন্দোলনের নায়ক ডা. ইমরানের গোপন নথি !

 আওয়ামী লীগের নেতা ডা. ইমরান এইচ সরকার রংপুর মেডিকেলের ৩১ তম ব্যাচের ছাত্র ছিল।ফাস্ট ইয়ারের সময় কলেজে এসে থাকার জায়গা না পেয়ে রংপুরের তত্কালীন ছাত্রশিবিরের সভাপতির সাথে একই রুমে একই খাটে ঘুমতো এই ইমরান, তারপর সেই শিবির সভাপতির অনুরোধেই থাকার জায়গা পায় রংপুর মেডিকেলের ছাত্রাবাসে। সে ছাত্রাবাসের নাম হচ্ছে "জিয়া ছাত্রাবাস!" ছাত্র দলের হল কমিটির একটিভ কর্মী ছিল ২০০২ সালে। নতুন ব্যাচ ভর্তি হলে ঐ হলে নতুন কমিটি হয়। তাতে ব্যাচের সভাপতি বানানো হয় নাজেম নামের আরেকজনকে। নিজে সভাপতি না হতে পেরে এই ইমরান ছাত্রদল ত্যাগ করে। কিন্তু ২য় বর্ষে এসেই ইমরানের হল পরিবর্তন হয়ে ডাঃ মুক্তা হলে আসে এবং ক্ষমতার লোভে আবার সে বেহায়ার মতো লীগে যোগ দেয় এবং ভয়ে হল ছেড়ে দিয়ে পাশের আবাসিক এলাকায় চলে গিয়ে মেসে থাকে এবং সেখান থেকে নানা ধরনের অপকর্ম করতে থাকে। আর তারসাথে লীগের সাথে একটিভ হয়ে কাজ করতে থাকে। ২০০৬- ২০০৭ এ রংপুর মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে। ২০০৮ সালে ইন্টার্নি ডক্টরস এসোসিয়েশনের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করে এই ইমরান। পরে সে ঢাকায় চলে আসে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ থেকে ডিপ্লোমা ইন এনেস্থেশিয়া ডিগ্রী পড়তে থাকে কিন্তু লেখাপড়ায় তেমন সুবিধা করতে না পেরে সে ভুয়া সার্টিফিকেট নেয় দলের দাপট দেখিয়ে।

তার বাড়ি কুরিগ্রামে। বাবা রংপুরে জনকণ্ঠের সাংবাদিক। সে মেডিকেলে থাকা অবস্থায় রিপা রানী নামক এক হিন্দু ঘরের মেয়ের সাথে প্রেম করত। কি জানে হয়তো  আগের হিস্টুরী নতুন করে জাগাতে চেয়েছিলো। সে বর্তমানে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি-র একজন সদস্য। সেখান থেকে এডহক ভিত্তিক ডাক্তার নিয়োগে দালালী করে প্রচুর টাকা পয়সা উপার্জন করেছে বলে বহু প্রমান রয়েছে। ২০১১ সালের মার্চে সে Youth for Peace and Democracy, Bangladesh YPD গঠন করে এবং প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে এখন পর্যন্ত।

আর এই ইমরান মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার করতে হবে আর জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের দাবি তোলার মাধ্যমে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হবার স্বপ্ন দেখছে আওয়ামী লীগের এই নেতা, যেমন ভাবে "বাংলার মালালা" হবার হীন স্বপ্ন দেখেছিলো অগ্নিকন্যা খ্যাত "লাকি"!

Tuesday, February 26, 2013

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অফিসের সামনে ঘুষের টাকা নিয়ে হাতাহাতি

টাকার ভাগবাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দন খান আলমগীরে দফতরের সামনে কথা কাটাকাটি ও এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে শাহবাগের আন্দোলনকারীরা স্মারকলিপি প্রদানের পর এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজ দফতর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী লিটন চৌধুরী ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সদস্য আতিকুর রহমান এ ঘটনা ঘটান।

এ সময় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আতিকুর রহমান মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী লিটন চৌধুরীর উদ্দেশে বলেন “তোদের কর্মকাণ্ডের কারণে মন্ত্রী নিজ নির্বাচনী এলাকায় বিশ হাজার ভোটও পাবে না এবং তোরা এই কয়েক মাসে জনগণের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছিস।”

জবাবে লিটন হুমকি দিয়ে বলেন, “তোরা কি করেছিস তা আমার জানা আছে। তোরাও কি কম কামিয়েছিস? আমি তোদের কোন কাজটি করে দেইনি? তোরা নিমকহারাম। আমি চাইলে তোরা একটাও সচিবালয়ে আসতে পারবি না।”

তখন উত্তেজিত হয়ে আতিকুর-লিটনকে বলেন, “তুই আমাকে চ্যালেঞ্জ করিস? আমি যদি চাই তাহলে তুই মন্ত্রণালয়ের ত্রিসীমানায়ও ঘেঁষতে পারবি না। এমনকি তোর নিজ এলাকা কচুয়ায় যাওয়াও বন্ধ করে দেবো।”

আতিকুর আরো বলেন, “লিটন তুই মন্ত্রীর নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন স্থানে টেন্ডারবাজি করেছিস। সম্প্রতি তেজগাঁও বিজি প্রেসের তিনটি টেন্ডার দাখিল করেছিস। অথচ মন্ত্রী কিংবা সচিব এ বিষয়ে কিছুই জানেন না।”

কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতির উপক্রম হলে মন্ত্রীর দফতরে দায়িত্বে থাকা কনস্টেবল অলি, কনস্টেবল রেজা এবং কনস্টেবল এমদাদ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং তাদের দুজনকে সরিয়ে নিয়ে মন্ত্রীর এ পিএস শাহ আলমের দফতরে নিয়ে যান।

আতিকুর ও লিটন, এই দুইজনের গ্রামের বাড়িই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর গ্রাম কচুয়ায়। গত সপ্তাহে এই লিটনের অভিযোগেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী সেলিমকে দুর্নীতির দায়ে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর একান্ত সচিব আমিনুল রহমানের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হলে তিনি বলেন, “আমি ঘটনার কথা শুনতে পেয়েছি। তবে কী ঘটেছে তা দেখিনি।”

শাহবাগ রাষ্ট্রের মধ্যে আরেক রাষ্ট্র: মাহমুদুর রহমান


 
  শাহবাগের গণজাগরণকে রাষ্ট্রের মধ্যে আরেকটি রাষ্ট্র হিসেবে অভিহিত করেছেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। মঙ্গলবার রাতে পত্রিকাটির নিজস্ব কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, “শাহবাগ সকল আইনের ঊর্ধ্বে, আদালতেরও ঊর্ধ্বে। শাহবাগ এখন সিদ্ধান্ত নেয় কবে কবে স্কুল-কলেজে জাতীয় পতাকা উড়ানো হবে, জাতীয় সংগীত গাওয়া হবে। এই সিদ্ধান্ত নেয়া অধিকার কেবল রাষ্ট্রের।  এখন শাহবাগ যদি এই সিদ্ধান্ত নেয় তবে নিশ্চয় শাহবাগ অন্য একটি রাষ্ট্র।”

মাহমুদুর রহমান বলেন, “এখন প্রশ্ন হলো এই রাষ্ট্রের মালিক কে? মালিক কি বর্ডারের মধ্যে আছে নাকি বর্ডারের বাইরে? যদি বর্ডারের বাইরে হয় তাহলে সে কে?”

তিনি বলেন, “শাহবাগ এখন ‘জবাই কর জবাই কর’ বলে সন্ত্রাসবাদ উসকে দিচ্ছে। কিন্তু এখন তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। এখন তারা আদালত অবমাননাকর বক্তব্য দিলেও আদালত তাদের বিরুদ্ধে সুয়ামোটো রুল ইস্যু করছে না। তাহলে এটাই প্রমাণিত হয় শাহবাগ আদালত, সরকার সবার চেয়ে শক্তিশালী।”

মাহমুদুর রহমান বলেন, “আজ দুটো অনলাইন পত্রিকা নতুন বার্তা ডটকম এবং বাংলা নিউজে দুটি রিপোর্ট দেখলাম, আমাকে নিয়ে অত্যন্ত নোংরা ভাষায় সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরী কথা বলেছেন। আমাকে কি এখন ইকবাল সোবহানের কাছ থেকে সাংবাদিকতার সার্টিফিকেট নিতে হবে। উনি কোন পত্রিকার সাংবাদিক আমি জানি না। আপনারা জানতে পারেন। তবে এটা জানি তিনি পাকিস্তান অবজারভার এবং পরে বাংলাদেশ অবজারভারে সম্পাদক ছিলেন। কিন্তু তার হাতেই অবজারভার বন্ধ হয়। ”

ইকবাল সোবহানের সমালোচনা করে মাহমুদুর রহমান বলেন, “বাজারে একটা কথা প্রচলিত আছে। এটা আমার কথা না। সেদিন একাত্তর টেলিভিশনে এক টক শোতে ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত বললেন, স্বাধীনতার পর গোলাম আযমের নাগরিকতা দাবির পত্রে ইকবাল সোবহান নাকি স্বাক্ষর করেছেন। এখন দেখছি বড় রাজাকারও বড় মুক্তিযোদ্ধা হয়ে যায়।”

দৈনিক সমকাল পত্রিকার সম্পাদকের সমালোচনার প্রতিবাদে মাহমুদুর রহমান বলেন, “আমি শুনেছি গোলাম সারওয়ার নাকি বিএনপি জোট সরকারের আমলে একটা বিশেষ ভবনে আসা-যাওয়া করতেন এবং সমকাল পত্রিকার লাইসেন্সটাও নাকি তারেক রহমান করে দিয়েছেন।”

মাহমুদুর রহমান বলেন, “সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের মাধ্যমে ভারতীয় সম্রাজ্যবাদী সংস্কৃতি আমাদের ওপর চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। আমার দেশ ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যে লড়াই শুরু করেছেন, তা মাহমুদুর রহমানের গ্রেফতারের মাধ্যমে বন্ধ হয়ে যাবে না। কারণ সাধারণ মানুষ মনে করে আমার দেশ পত্রিকা তাদের কথা বলে। আর যদি তাই না হতো তাহলে মাত্র ২০ দিনে আমার দেশ পত্রিকার সার্কুলেশন ৭৫ হাজার বেড়ে যেতো না।”

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মাহমুদুর রহমান বলেন, “অনেকে অভিযোগ করছেন আমরা নাকি রাজীবের মৃত্যুর পর তার নামে ফেইক একাউন্ট খুলে  অপপ্রচার করেছি। কিন্তু ২০১২ সালে মার্চ মাসে রাজীবের ব্লগিংয়ের লেখালেখির বিরুদ্ধে হাইকোর্টের যে রুল ইস্যু হয়েছিল সেই রিটে সেসব ডকুমেন্টস জমা দেয়া হয়েছিল সেগুলোই আমি প্রকাশ করেছি।”

সেদিন সেনা অফিসাররা নৃশংসতার শিকার যেভাবে

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি। সকাল ৯টা ৫ মিনিট। ডিজি মেজর জেনারেল শাকিল দরবার হলে প্রবেশ করেন। তার কাছে ঢাকা সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মুজিবুল হক প্যারেড হস্তান্তর করেন। এরপর ডিজি ও ডিডিজি মঞ্চে নির্দিষ্ট আসনে বসেন। বিডিআরের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম সিদ্দিকুর রহমান কোরআন তেলাওয়াত করেন। আশ্চর্যজনক হলেও সত্য, বিডিআরের নৃশংসতা মেনে নিতে পারেননি পেশ ইমাম। বিদ্রোহের কিছুদিন পর মার্চের প্রথম সপ্তাহে তিনি হৃদরোগে মারা যান। কোরআন তেলাওয়াতের পর দরবারের সবাইকে সাদর সম্ভাষণ জানিয়ে বক্তৃতা করেন মেজর জেনারেল শাকিল। তিনি আগের দিনের প্যারেডের প্রশংসা করেন। এরপর তিনি 'অপারেশন ডাল-ভাত' কার্যক্রম প্রসঙ্গ তোলেন। জেনারেল শাকিল জানতে চান, ডাল-ভাতের দৈনিক ভাতা সৈনিকরা ঠিকভাবে পেয়েছে কিনা। কিন্তু সৈনিকদের জবাব জোরালো ছিল না। দরবারে সাধারণত সৈনিকদের যে ধরনের তাৎক্ষণিক স্বতঃস্ফূর্ত ইতিবাচক প্রত্যুত্তর থাকে, এ ক্ষেত্রে তা ছিল না। ডিজি ডাল-ভাতের কিছু হিসাব, সৈনিকদের ডিএ প্রদান ইত্যাদি বিষয়ে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেন।

তিনি বলেন, '২০০৮ সালে আপনাদের শৃঙ্খলা ভালো ছিল না। অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে।' ডিজির এ বক্তব্য সৈনিকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। তাদের চোখ-মুখের ভাষা ছিল কিছুটা ভিন্ন। এভাবেই চলছিল। কিন্তু হঠাৎ বদলে গেল সবকিছু। ঘড়ির কাঁটায় আনুমানিক তখন সকাল সাড়ে ৯টা। ডিজি তখনো বক্তৃতা করছিলেন। হঠাৎ ১৩ ব্যাটালিয়নের সিপাহি মাঈন আকস্মিকভাবে অস্ত্র হাতে মঞ্চে উঠেই ডিজির দিকে অস্ত্র তাক করেন। সঙ্গে সঙ্গে দরবার হলে হট্টগোল শুরু হয়। ওই সময় ডিজি শাকিল পূর্ণ ব্যক্তিত্ব নিয়ে মাথা ঘুরিয়ে তাকান। ডিজির চোখের দিকে তাকিয়ে সৈনিক মাঈন মঞ্চে অজ্ঞানের মতো হয়ে পড়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে ডিডিজি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বারী ও কর্নেল আনিস ওই সৈনিককে ধরে ফেলেন। প্রায় একই সময় ৪৪ ব্যাটালিয়নের আরেক সিপাহি কাজল মঞ্চে উঠে আসেন। কিন্তু মাঈনকে পড়ে যেতে দেখে কাজল হঠাৎ কোথাও না থেমে মঞ্চের দক্ষিণ পাশে চলে যান। কিন্তু বেরুনোর পথ না থাকায় জানালার কাচ ভেঙে ফেলেন কাজল। লাফ দিয়ে বাইরে চলে যান। তখনই শোনা যায় একটি গুলির শব্দ। মূলত এটাই ছিল প্রথম গুলির শব্দ।

কি থেকে কি হয়ে গেল। দরবার হল মুহূর্তে ফাঁকা। প্রায় তিন হাজার সৈনিক এবং জেসিও, মুহূর্তের মধ্যে যে যেভাবে পেরেছে, জানালা বা দরজা দিয়ে লাফিয়ে বেরিয়ে যান। অনেক কর্মকর্তাও ওই সময় বেরিয়ে যান। ডিজি, ডিডিজি, সব সেক্টর কমান্ডার ও পরিচালক, তিনজন মহিলা ডাক্তার, সাত-আটজন লে. কর্নেল, ১৫-১৬ জন মেজর, দুজন ক্যাপ্টেন, কেন্দ্রীয় সুবেদার মেজর, আরপি জেসিও, এনএসএ, ডিএডি ফসিউদ্দীন, বিডিআর মসজিদের দুই ইমাম, তিন-চার সিপাহিসহ ৪৫-৫০ জন দরবার হলে থেকে যান। অফিসাররা নিজেদের মধ্যে আলোচনায় মত্ত হন। অন্যদিকে সিপাহিরা বাইরে গিয়ে নিজেদের সংগঠিত করে এবং নানারকম গুজব ছড়িয়ে দেয়। তারা উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড শুরু করে। পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী একটি গ্রুপ কাজ শুরু করে।

ঘটনা সামনের দিকে যেতে থাকে। ১৫-২০ মিনিট পর দরবার হলের পূর্ব-দক্ষিণ কোণ থেকে গুলির আওয়াজ আসতে থাকে। একই সঙ্গে 'ধর, ধর' শব্দ শোনা যায়। ওই সময় দরবার হলের ভেতর সামনের লোকজন দৌড়াদৌড়ি করে বের হয়ে যায়। এদিকে সিপাহি মাঈনকে কয়েকজন কর্মকর্তা তাদের জুতার ফিতা দিয়ে বেঁধে ফেলেন। মাঈন মঞ্চের ওপর অজ্ঞানের মতো পড়ে থাকেন। ডিজি মেজর জেনারেল শাকিল কর্মকর্তাদের বলেন, সবাইকে যেন আবার দরবার হলের ভেতর ডেকে আনা হয়, দরবার আবার শুরু হবে। ডিজি চেয়েছিলেন সবকিছু স্বাভাবিক করতে। তার লক্ষ্য ছিল ক্ষুব্ধ সৈনিকদের শান্ত করে পরিবেশ স্বাভাবিক করতে। কিন্তু বাস্তবতা ছিল সম্পূর্ণ বিপরীত, যা সেখানে অবস্থানকারী অফিসাররা তখনো পুরোপুরি অাঁচ করতে পারেননি।

৯টা ৪০ মিনিটের দিকে দরবার হলের বাইরে গুলির শব্দ বাড়তে থাকে। ডিজি মেজর জেনারেল শাকিল একজন অফিসারকে বললেন, 'কে ফায়ার ওপেন করেছে? তাদের ফায়ার করতে নিষেধ কর। সিচুয়েশন ট্যাকল হয়েছে।' এর মধ্যে দেখা গেল লাল-সবুজ রঙের কাপড় দিয়ে নাক-মুখ বাঁধা বিডিআরের একদল সৈনিক দরবার হল ঘিরে কিছুক্ষণ পর গুলি করছে। তখন দরবার হলের জানালা খুলে কর্নেল গুলজার, কর্নেল এমদাদ, লে. কর্নেল এরশাদ এবং লে. কর্নেল কামরুজ্জামান চিৎকার করে বলেন, 'তোমরা ফায়ার কর না, তোমরা ফেরত যাও।' এ সময় ভেতরে অবস্থানকারী অফিসাররা দেখেন, ফাঁকা গুলিবর্ষণকারী সৈনিকদের আরেক দল গুলি সরবরাহ করছে। সদর রাইফেল ব্যাটালিয়নের একটি পিকআপ রাস্তা দিয়ে দরবার হলের পাশের মাঠে এসে দাঁড়ায়। ততক্ষণে কাচ ভেঙে গুলি দরবার হলের ভেতর ঢুকছিল। কর্মকর্তারা আত্দরক্ষার্থে কেউ দেয়াল ঘেঁষে, কেউ পিলারের আড়ালে আশ্রয় নেন। দরবার হলের দিকে গুলি হচ্ছে দেখে মেজর মো. মাকসুদুল হক ক্রলিং করে দরবার হলের পূর্ব দিকে গাড়ি থামার বারান্দার নিচে পেঁৗছে যান। সেখানে ৮-১০ সৈনিক ও ধর্মীয় শিক্ষক গুলি থেকে বাঁচতে শুয়েছিলেন। আর আনুমানিক ৫০ গজ দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে, অর্থাৎ ৫ নম্বর ফটকের দিক থেকে মাথায় লাল কাপড় বাঁধা একজন সিপাহি গাড়ি থামার বারান্দার দিকে গুলি করতে থাকে। ধর্মীয় শিক্ষকের সঙ্গে শুয়ে থাকা সৈনিকদের একজন তখন 'আমরা সিপাহি' বলে চিৎকার করে। জবাবে গুলিবর্ষণকারী চিৎকার করে বলে, 'সিপাহিরা, সব মাথার ওপর হাত তুলে দৌড়ে এলাকা ত্যাগ কর।' তখন এসব সিপাহির সঙ্গে মেজর মাকসুদও মাথার ওপর হাত তুলে দৌড় দেন এবং সামনের আবাসিক কোয়ার্টারের পেছনের দেয়াল টপকে বাইরে চলে যান। মেজর মাকসুদই প্রথম অফিসার, যিনি এভাবে পালাতে পেরেছেন। বলা যায়, ভাগ্যই তাকে সহায়তা করেছে। সিপাহিদের সঙ্গে তিনি পালাতে পেরেছেন।

ডিজি মেজর জেনারেল শাকিল তখনো সমাধানের পথ খুঁজছেন। চেষ্টা করছেন কীভাবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যায়। এক পর্যায়ে তিনি কেন্দ্রীয় সুবেদার মেজর (এসএম) নুরুল ইসলামকে বলেন, 'সৈনিকদের এ রকম ক্ষোভ আছে আপনি তো কোনো দিন একবারও বলেননি!' তখন কেউ একজন ডিজিকে বললেন, 'স্যার, গাড়ি লাগানো আছে, আপনি চলে যান।' ডিজি বলেন, 'আমি কোথায় যাব এবং কেন যাব?' সঙ্গে সঙ্গে তিনি ঢাকা সেক্টর কমান্ডার এবং ঢাকার অধিনায়কদের উদ্দেশে বললেন, 'ইউ অল রাশ টু দ্য ইউনিট অ্যান্ড গেট ব্যাক ইউর পিপল এবং সবার সঙ্গে কথা বলো অ্যান্ড ট্রাই টু মটিভেট দেম।' এরপর ঢাকা সেক্টর কমান্ডার ও অধিনায়করা দরবার হল থেকে নিজ নিজ ইউনিটের উদ্দেশে রওনা হন। ডিজি মাইকে ঢাকা সেক্টর কমান্ডার ও ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক এবং সুবেদার মেজরদের নিজ নিজ ব্যাটালিয়নে কোতের (অস্ত্রাগার) নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার এবং সৈনিকদের সঙ্গে কথা বলে তাদের শান্ত করার নির্দেশ দেন। এ সময় ঢাকার সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মুজিব, ৩৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল এনায়েত ও ১৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল বদরুল নিজ নিজ ইউনিটের দিকে রওনা দেন। এর মধ্যে বিদ্রোহী বিডিআর সদস্যরা চারদিক থেকে দরবার হলের দিকে গুলি করতে থাকে। তখন দরবার হল থেকে কিছু কর্মকর্তা ও বিডিআর সদস্য বিভিন্ন দিকে ছোটাছুটি করে বের হতে থাকেন।

তদন্ত আদালতকে কামরুজ্জামান জানান, এর আগে ডিজি কথা বলেছেন সেনাপ্রধান ও র্যাবের ডিজির সঙ্গে। সবাই জানিয়েছেন, কিছুক্ষণের মধ্যে সেনাবাহিনী ও র্যাব চলে আসবে। লে. কর্নেল ইয়াসমীনও লক্ষ্য করেন, তখন ডিজি বিভিন্ন জায়গায় মোবাইল ফোনে সাহায্যের জন্য সেনাবাহিনী পাঠাতে অনুরোধ করছিলেন।

ওই সময় লে. কর্নেল সৈয়দ কামরুজ্জামানের মোবাইল সেটে ফোন করে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জিয়া (পরিচালক, মিলিটারি অপারেশন) জানতে চান, ভেতরে কী অবস্থা। উত্তরে অবস্থা খারাপ শুনে তিনি বলেন, 'চিন্তা কর না, ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেড থেকে দুটি ব্যাটালিয়ন মুভ করেছে।' তখন পাশ থেকে ডিওটি কর্নেল আনিস ফোন নিয়ে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জিয়ার সঙ্গে কথা বলেন।

এক পর্যায়ে দরবার হলে আটকেপড়া রেজিমেন্টাল পুলিশ (আরপি) জেসিও আস্তে আস্তে ওয়াকিটকি শুনছিলেন। লে. কর্নেল কামরুজ্জামান ওয়াকিটকির সাউন্ড বাড়িয়ে দিতে বললে তাতে শোনা যায়, অপর পাশ থেকে বলা হচ্ছে, 'অফিসার মেসে অফিসারদের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। বিডিআরের সব গেটের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বিদ্রোহীরা। তারা কোত (অস্ত্রাগার) ভেঙে অস্ত্র-গোলাবারুদ নিয়ে যাচ্ছে।' এর মধ্যে দেখা যায় এডিসি ক্যাপ্টেন মাজহার কেঁদে কেঁদে কারও সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলছেন। তাকে একজন অফিসার জিজ্ঞেস করাতে জবাবে বললেন, 'রাইফেল ভবনে বিদ্রোহী বিডিআররা ঢুকেছে। হাউস গার্ড অনেক আগে চলে গেছে। ম্যাডাম বলছেন, দরজা ধাক্কা দিচ্ছে।' ডিজি শাকিল সব শুনলেন। এক পর্যায়ে তিনি মাজহারকে বললেন, 'ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে থাকতে বল।' সকাল ১০টার দিকে দক্ষিণ দিকের টয়লেটে লুকিয়ে থাকা মেজর মাকসুম স্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলে জানতে পারেন যে বিদ্রোহীরা তার স্ত্রীকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। মেজর মাকসুমের পাশে বসা মেজর মনিরও তা জানতে পারেন।

দরবার হলে অবস্থানকারী কর্মকর্তারা শুনতে পান গুলির শব্দ অনেক কাছে এগিয়ে আসছে। তখন মঞ্চের সব আলো নিভিয়ে ফেলতে বলেন ডিজি মেজর জেনারেল শাকিল। কর্নেল আনিস একটি লম্বা কাঠ দিয়ে সব বাল্ব ভেঙে ফেলেন। ডিজি মাইকে সবাইকে শান্ত হতে বলছিলেন। তিনি বলছিলেন, 'তোমরা গুলি থামাও। তোমাদের সব দাবি মেনে নেওয়া হবে।' এ সময় একজন সৈনিক দৌড়ে পর্দা সরিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়ে। ওর হাতে বা কাঁধে গুলি লেগেছিল। ভেতরে থাকা একজন ধর্মীয় শিক্ষক তার পাগড়ির কাপড় দিয়ে ওই সৈনিকের ক্ষতস্থান বেঁধে দেন। এ সময় সিপাহি সেলিম, কাজল, হাবিব, আতাউর, ওবায়েদসহ আরও কয়েকজন বিডিআর সদস্য গুলি করতে করতে দরবার হলে প্রবেশ করেন। তারা হুকুমের স্বরে পর্দার পেছনে লুকিয়ে থাকা কর্মকর্তাদের বের হয়ে আসতে বলেন।

কর্মকর্তারা তখন কেন্দ্রীয় সুবেদার মেজরকে (এসএম) বলেন, 'আপনি ওদের থামতে বলেন'। সুবেদার মেজর পর্দার বাইরে বিদ্রোহীদের সঙ্গে কথা বলতে যান। সঙ্গে মেজর জায়েদীও যান। দুজনকেই সৈনিকরা ধরে ফেলে। তখন কয়েকটি গুলি করা হয়। তারা মাটিতে শুয়ে যান। দুজন সৈনিক মেজর জায়েদীকে তুলে বলে, 'আমাদের সঙ্গে চল।' দরবার হলের বাইরে নিয়ে তারা জায়েদীকে রড দিয়ে মারধর করে। তখনো কেন্দ্রীয় এসএম তার সঙ্গে ছিলেন, তার হাত থেকে রক্ত ঝরছিল। এরপর দুই সৈনিক মেজর জায়েদীকে ২৪ রাইফেল ব্যাটালিয়নের সুবেদার মেজর গোফরান মলি্লকের বাসায় নিয়ে যায়।

ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল ১০টা ২০ মিনিট। সিপাহি সেলিম মাইকে কর্মকর্তাদের বেরিয়ে আসতে বলেন। সেলিম বলেন, 'কাম, ওয়ান বাই ওয়ান'। এ সময় কর্মকর্তাদের রাজি করাতে কিছু সময় লাগে। ডিজিসহ কয়েকজন কর্মকর্তা মঞ্চের পর্দার ভেতর উত্তর দিকে ছিলেন। ডিজিকে কোণায় একটি চেয়ারে বসানো হলো। অন্যরা সবাই ডিজির গা ঘেঁষে দাঁড়ালেন। ডিজি শাকিল বললেন, 'তোমরা মৃত্যুকে কেন ভয় পাচ্ছ? মরতে তো একদিন হবেই।' কর্মকর্তারা বললেন, 'স্যার, আপনার সেফটির দরকার আছে।' ডিজি তখন বললেন, 'র্যাব বা সেনাবাহিনী কেউ এখনো আসলো না!'

ওই সময় কর্নেল মসিউর ডান দিকের উইং থেকে দৌড়ে বাঁ-দিকের উইংয়ে চলে এলেন। বাঁ-উইংয়ের সিঁড়িতে ডিডিজি ব্রিগেডিয়ার বারী ছিলেন। কর্নেল মসিউর দুটি সাউন্ড বঙ্ ওখানকার পেছনের দরজার সামনে একটার ওপর একটা রাখেন। তখন ব্রিগেডিয়ার বারী বলেন, সাউন্ড বঙ্ গুলি ঠেকাতে পারবে না।

সকাল সাড়ে ১০টা। বিদ্রোহী সৈনিকরা চিৎকার করে কর্মকর্তাদের মঞ্চের ভেতর থেকে বের হতে বলে। তখন মঞ্চের নিচে ১৫-১৬ জন বিদ্রোহী কাপড়ে মুখ ঢেকে দাঁড়িয়ে ছিল। ১০টা ৩১ মিনিটের পরপরই মঞ্চের পর্দার আড়ালে দক্ষিণ পাশে থাকা তিনজন নারী কর্মকর্তাসহ ২০-২৫ জন কর্মকর্তা হাত উঁচু করে পর্দার বাইরে বের হয়ে আসেন। ১০টা ৩১ মিনিটে মেজর রুখসানা তার স্বামীকে মোবাইল ফোনে বিদ্রোহীদের দরবার হলে ঢুকে পড়ার কথা জানান। তিনি পরে স্বামীর মোবাইল সেট থেকে সময় নিশ্চিত করেন।

উত্তর পাশে থাকা ডিজিসহ অন্য কর্মকর্তারা তখনো বের হননি। বিদ্রোহীরা প্রথমেই কর্মকর্তাদের সবার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। সবাইকে তারা মাটিতে শুয়ে পড়তে এবং র্যাঙ্ক খুলে ফেলতে বলে। কর্মকর্তারা দরবার হলের মেঝেতে শুয়ে পড়েন। তখন তাদের ওপর দরবার হলের ভেতরে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে কিছুটা দূরে দাঁড়ানো মুখে কাপড় বাঁধা একজন বিডিআর সৈনিক তিন-চার রাউন্ড গুলি চালায়। লে. কর্নেল কায়সার ও অপর দুজন কর্মকর্তা এতে গুলিবিদ্ধ হন। গুলি খেয়ে লে. কর্নেল কায়সার উপুড় অবস্থা থেকে চিৎ হয়ে যান।

লে. কর্নেল কায়সার গুলি খাওয়ার পর দরবার হলের ভেতর মহিলা-কর্মকর্তাদের দিকে এক জওয়ান দৌড়ে এসে বলে, 'ম্যাডামদের মারিসনে, ওনারা ডাক্তার।' তখন অন্য একজন সৈনিক তাদের নিয়ে দরবার হলের পশ্চিম ফটকের দিকে যায়। তাদেও পেছন পেছন অন্য কর্মকর্তারাও আসতে থাকেন।

দরবার হলের মঞ্চের পর্দার আড়ালে উত্তর দিকের উইংয়ে ডিজি, ডিডিজি, কর্নেল আনিস, কর্নেল মশিউর, কর্নেল এমদাদ, কর্নেল জাহিদ, লে. কর্নেল সৈয়দ কামরুজ্জামান, লে. কর্নেল এরশাদ, লে. কর্নেল আজম, মেজর খালিদ, মেজর সালেহ, এডিসি ক্যাপ্টেন তানভীর, ডিএডি ফসিউদ্দিন, সঙ্গে এনএসও এবং আরপি জেসিও ছিলেন। লে. কর্নেল সৈয়দ কামরুজ্জামান তদন্ত আদালতকে বলেন, দক্ষিণ দিকের উইংয়ে আশ্রয় নেওয়া কর্মকর্তারা হাত উপরে তুলে পর্দার বাইরে যাচ্ছেন দেখে ডিওটি কর্নেল আনিস ডিজিকে বললেন, 'স্যার, ওই দিকে অবস্থান নেওয়া সব অফিসার সারেন্ডার করেছেন। আমাদের জন্য কী অর্ডার?' ডিজি কী বললেন তা কামরুজ্জামান ভালোভাবে শুনতে পাননি।

বিদ্রোহীরা হ্যান্ডমাইকে বলছিল, 'ভেতরে কেউ থাকলে বাইরে বের হয়ে আসেন।' একই সঙ্গে তারা মঞ্চের দিকে গুলি ছোড়ে। হঠাৎ মুখে কাপড় বাঁধা একজন সৈনিক অস্ত্র-হাতে পর্দা সরিয়ে মঞ্চে ঢুকে চিৎকার করে বলে, 'ভেতরে কেউ আছেন? সবাই বের হন।' একই সঙ্গে কর্মকর্তাদের দিকে তাকিয়ে দুটি গুলি করে সে। গুলি কারও গায়ে লাগেনি। এরপর ডিজিসহ একে একে অন্য কর্মকর্তারা পর্দা সরিয়ে বাইরে আসেন। সবার কাছ থেকে মোবাইল ফোন নিয়ে নেয় বিদ্রোহীরা। মঞ্চের নিচে নেমেই কর্মকর্তারা ডিজি শাকিলকে মধ্যে রেখে গোল হয়ে দাঁড়ান। একজন সৈনিক চিৎকার করে বলে, 'শুয়োরের বাচ্চারা, সারা জীবন আমাদের সিঙ্গেল লাইন করে হাঁটিয়েছে, নিজেরা গোল করে দাঁড়িয়েছিস!' আবার হুঙ্কার দিয়ে সে বলে, 'সবাই সিঙ্গেল লাইন করে দাঁড়া।' লাইনে ডিজি সবার সামনে দাঁড়ালেন। তারপর কিছুটা জ্যেষ্ঠতা মানার মতো সবাই লাইনে দাঁড়ালেন। নির্মম, নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের দিকে এগিয়ে গেলেন দেশপ্রেমিক সেনা কর্মকর্তারা। এরপর বিশ্ববাসী দেখল এক নিষ্ঠুর বর্বর অধ্যায়।

প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি করায় শাস্তি হলেও মহানবী (সা:)-কে কটূক্তিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এবং মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এবং বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের মতো অপরাধের অভিযোগে এ পর্যন্ত বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা করেছে পুলিশ। কয়েকজন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে শাস্তির রায়ও দিয়েছে আদালত। প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করার অভিযোগে ২০১০ সালে কিছুদিনের জন্য ফেসবুক সাময়িক নিষিদ্ধও করা করা হয়েছিল। কিন্তু সামাজিক মাধ্যমে মহানবী (সা:) এবং ইসলামকে অবমাননাকারী কুরুচীপূর্ণ ব্লগারদের শনাক্ত করে এখনো উল্লেখযোগ্য কোন শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। 
এর আগে গত বছর জানুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যু কামনা করায় অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির শিক্ষক রুহুল খন্দকারকে শাস্তিস্বরূপ ৬ মাসের কারাদ-ের আদেশ  দেয় আদালত। তাকে অস্ট্রেলিয়া থেকে ফেরত আনতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। গত বছরের ৩০ জানুয়ারি ফেসবুকে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলায় আবু নাইম যোবায়ের নামে এক শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার হন এবং এ অপরাধে তার সাজা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে তার বাড়িতে ছাত্রলীগের কর্মীরা হামলাও চালিয়েছে বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়।
২০১১ সালের জুলাই মাসে নওগাঁর সাপাহারে প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনার ছবির সাথে ফনা তোলা বিষধর গোখরা সাপের ছবি ও আপত্তিকর বক্তব্য সংযুক্ত করে বিভিন্নজনের মোবাইল  ফোনের মেমোরিতে লোড দিয়ে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগে মোঃ ফিরোজ হোসেন (৩০) নামের এক যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করে তথ্য ও যোগাযোগ আইনের -২০০৬ সালের ৫৭-এর ২(১) ধারা মতে মামলা দায়ের করে এবং  জেলহাজতে পাঠায়। ২০১১ সালের অক্টোবর মাসে ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি করার দায়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের দ্বিতীয় সেমিস্টারের ছাত্র শফিকুল ইসলামকে ছাত্রলীগ কর্মীরা আটক করে গণপিটুনি দিয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
কিছুদিন পূর্বে খাগড়াছড়ি গুইমারা বড়পিলাক থেকে মোবাইল ফোনের ম্যাসেজের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি করলে মাটিরাংগা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০১২-১৩ সালের এসএসসি’র পরীক্ষার্থী মো: রুবেল হোসেন (১৮) নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান চালিয়ে আটক করে। পরে ৫৪নং ধারা মামলা দেখিয়ে তাকে খাগড়াছড়ি জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়। কুমিল্ল¬া বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের প্রথম ব্যাচের ছাত্র মোঃ আরিফুজ্জামানের  ফেসবুক একাউন্টের একটি স্ট্যাটাসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ওই ছাত্রকে আজীবনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার ও শাস্তির দাবিতে ক্যাম্পাসে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
ময়মনসিংহের ত্রিশাল জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ছাত্র  সোহেল মোল্ল¬া রাজ ওরফে সোহেল রানা ফেসবুকে ব্যক্তিগত  প্রোফাইলে প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে কটূক্তি ও আপত্তিকর মন্তব্য করায় তার বিরুদ্ধে গত বছরের জুন মাসে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করেছে সরকার। অপরদিকে ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোসহ ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ২০১০ সালের ২৯ মে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে আটটার দিকে ফেসবুক সাময়িক নিষিদ্ধ করে দেয়।
গত ২২ ফেব্রুয়ারী তারিখে একটি দৈনিকের খবরে বলা হয়, শাহবাগ আন্দোলনের অন্যতম উদ্যোক্তা ব্লগার আসিফ মহীউদ্দীন ও থাবা বাবা ওরফে রাজীব আহমেদের বিরুদ্ধে ধর্মকে আক্রমণ, কুৎসা রটনা, কুরআন শরিফের আয়াত বিকৃত করার দায়ে ব্যবস্থা নিতে গত বছরই উচ্চ আদালত নির্দেশ দিয়েছিল। গত বছরের মে মাসে হাইকোর্টে এই মর্মে রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছিল। পুলিশ বিভাগের অনুরোধ ও আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে সে সময় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন-বিটিআরসি পুলিশের অনুরোধে রাজীব পরিচালিত  ধর্মকারী সাইটটি তুলে নিলেও এটি ফের চালু করা হয়।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমমনা ১৩ দলের সংবাদ সম্মেলনে ২০১১ সালের ১৭ মে তারিখে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ফেসবুকে কুরুচীপূর্ণ মন্তব্য করায় স্বঘোষিত নাস্তিক এবং ব্লগার এন্ড অনলাইন এক্টিভিস্ট নেটওয়ার্ক-এর নেতা আসিফ মহিউদ্দীনকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়।
এরপর গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পল্লবীতে ব্ল¬গার আহমেদ রাজীব হায়দার ওরফে থাবা বাবা নিজ বাড়ীর কাছেই খুন হন। এরপর তার ফেসবুক পেজ থাবা বাবা থেকে ইসলাম ও মহানবী (সা:)-কে কটাক্ষ করে নোংরা ও কুরুচীপূর্ণ লিঙ্কের বরাত দিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় বেশ কিছু লেখা ছাপা হয়। তখন বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হয় যে, এসব লেখা ও বক্তব্য থাবা বাবার নয়। এটি স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের কাজ। তারা থাবা বাবার একাউন্ট হ্যাক করে এ কাজ করেছে। অন্যদিকে থাবা বাবা ওরফে রাজীবের খুনের পর শাহবাগে তার জানাজা পরিচালনাকারী ইমামকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হত্যার হুমকি দেয় ফারাবি শফিউর রহমান নামে একজন। গত রবিবার রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই নম্বর গেট এলাকার এক মেস থেকে ফারাবি শফিউর রহমানকে গ্রেপ্তার করে হাটহাজারী থানার পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের সঙ্গে সংশি¬ষ্ট পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত ব¬øগার রাজীবের জানাজা পরিচালনাকারী ইমামকে হত্যার হুমকি দেয়ার কথা স্বীকারও করেছেন ফারাবি। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যার চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।
পুলিশ এবং গোয়েন্দারা ফেসবুকের সূত্র ধরে ফারাবী এবং প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তিকারীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনতে পারলেও ইসলাম ও মহানবী (সা:)-কে কটাক্ষ করে নোংরা ও কুরুচীপূর্ণ লিঙ্কদাতাদের গ্রেফতার করতে পারছে না। বরং অনেক ব্লগারের ব্যক্তিগত এবং বিভিন্ন সামাজিক সাইট থেকে কিছু তথ্য মুছে ফেলে এবং ওয়েবসাইট ব্লক করে দিয়ে গত কিছুদিন যাবত সারা দেশে বিরাজমান অসহনীয় পরিস্থিতি সামাল দেবার চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিসি) সাবেক সভাপতি হাবিবুল¬া এন করিম এর মতে, একজন ব্যক্তি যে কোন নামে মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে যে কোন কিছু আপলোড করুক না কেন আইটি ফরেন্সিকের মাধ্যমে তাকে শনাক্ত করা সম্ভব। আমাদের দেশে বেসরকারী পর্যায়ে আইটি ফরেন্সিকের ব্যবস্থা আছে। তবে সরকারীভাবে শুধু বিসিসি কিছু কিছু শুরু করেছে। আমাদের দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এ বিষয়ে অভিজ্ঞতা অনেক কম।
তিনি বলেন, পৃথিবীর সব দেশেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আইটি ফরেন্সিকের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। আমাদের দেশের তথ্যপ্রযুক্তিকে আরও আধুনিকায়ন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আইটি ফরেন্সিকের বিষয়ে প্রশিক্ষিত করা হলে সাইবার ক্রাইমের সঙ্গে জড়িতদের সহজেই খুঁজে বের করা সম্ভব হবে।

বৃদ্ধের দাড়ি ধরে টানা সেই ছাত্রলীগ ক্যাডারও লগি-বৈঠার খুনি

মোফাচ্ছেরে কোরআন ও আলেমদের ডাকা কর্মসূচিতে সশস্ত্র হামলকারী ক্যাডারদের একজন শাহরিয়ার। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি তাকে পুলিশ বেষ্টনীতে এক বৃদ্ধের দাড়ি ধরে টানাহেঁচড়া করে কিলঘুষি মারতে দেখা যায়। কিছু মিডিয়ায় ‘জনতার গণপিটুনি’ বলে রাজপথে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসকে বৈধতা দিলেও আমার দেশ-এর অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, ছাত্রলীগ ক্যাডার শাহরিয়ার (২৮) একজন চিহ্নিত খুনি। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠার তাণ্ডবে মানুষ মেরে উল্লাসকারীদের অন্যতম সে। ওইদিন নিহত শহীদের পরিবার ছাড়াও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা আমার দেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ২৮ অক্টোবরের লগি-বৈঠার তাণ্ডবের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা শাহরিয়ার নিজেও এ প্রতিবেদকের কাছে স্বীকার করে।
এর আগে শাহবাগের কথিত ব্লগারদের আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী বাপ্পাদিত্য বসু ২৮ অক্টোবরের ভয়ঙ্কর খুনি বলে আমার দেশ-এ সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। শাহরিয়ার রাজধানীর সবুজবাগ থানাধীন বাসাবো-কদমতলা-রাজারবাগ অঞ্চল নিয়ে গঠিত ৫নং ওয়ার্ড এলাকায় চাঁদাবাজির সঙ্গে জড়িত বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিজের শিক্ষাজীবন অষ্টম শ্রেণীতে শেষ হলেও এখন সে আলোচিত ব্লগার ও ছাত্রনেতা। শাহবাগ আন্দোলনে ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) ছাত্রলীগের নেতৃত্বদানকারী। আওয়ামী লীগ নেতা সাবের হোসেন চৌধুরীর আশীর্বাদপুষ্ট হওয়ায় অছাত্র মোস্তাফিজুর রহমান শাহরিয়ার মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের পদবিধারী নেতাও।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে এলাকার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করে। এলাকার বিভিন্ন জায়গায় প্রকাশ্যে জুয়ার আড্ডা বসায়। তার কথা না শুনলে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে। সম্প্রতি রাজারবাগ পানির পাম্প সংলগ্ন এলাকায় জমি দখল করতে গিয়ে স্থানীয় জনতার ধাওয়া খেয়ে দলবলসহ পালিয়ে আসতে হয় শাহরিয়ারকে। চাঁদাবাজির অভিযোগে এ সরকারের আমলেই র্যাব তাকে একবার গ্রেফতার করেছিল। পরে ওপর মহলের তদবিরে ছেড়ে দেয়া হয়। তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগে মামলা নেয় না সবুজবাগ থানা পুলিশ। তবে চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাহরিয়ার। তবে ২৮ অক্টোবর পল্টনে সক্রিয় ছিল জানিয়ে এ প্রতিবেদককে সে জানায়, ‘ওইদিন মাঠে ছিলাম। এ ঘটনায় মামলা হইছে, মারও খাইছি। তো তাতে কি হয়েছে।’ তবে সবুজবাগ থানা পুলিশ বলেছে, তারা শাহরিয়ারের ২৮ অক্টোবরের মারামারিতে জড়িত থাকা বা চাঁদাবাজির বিষয়ে কিছুই জানে না। তাদের দাবি, ‘সে খুবই ভালো লোক’।
১৩ ফেব্রুয়ারি আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মুক্তি দাবিতে বায়তুল মোকাররমের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করে ‘মাওলানা সাঈদী মুক্তিমঞ্চ’। সেদিন ভোরেই বায়তুল মোকাররম, মতিঝিলসহ পুরো এলাকা দখলে নেয় র্যাব ও পুলিশ। সকালে পুলিশ পাহারায় মাওলানা সাঈদীর মুক্তি দাবিতে রাজপথে নামা আলেম, জনতা ও জামায়াত-শিবির কর্মীদের ব্যাপক মারধর করে যুবলীগ-ছাত্রলীগের ক্যাডাররা। অনেক নিরীহ পথচারীও বর্বর হামলার শিকার হন। সেদিন পুলিশের বেষ্টনীতে থাকা একজন বৃদ্ধ পথচারীর সাদা দাড়ি টেনে ধরে তাকে উপর্যুপরি কিল-ঘুষি মারে অছাত্র ছাত্রলীগ ক্যাডার শাহরিয়ার। কিছু আওয়ামীপন্থী গণমাধ্যমে এসব হামলাকে ‘জনতার হামলা’ বলে বৈধতা দেয়ার প্রয়াস চালানো হয়। তবে আমার দেশ-এর অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে শাহরিয়ার মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক। ২৮ অক্টোবরের লগি-বৈঠার চিহ্নিত এ খুনির বিরুদ্ধে রয়েছে চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগ।
কে এই ব্লগারবেশী শাহরিয়ার : ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর পল্টনে প্রকাশ্যে ছুরি দিয়ে মানুষ হত্যার ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়। ওইদিনের হামলায় নিহত হন ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা শিবির নেতা হাফেজ গোলাম কিবরিয়া শিপন ও সাইফুল্লাহ মুহাম্মদ মাসুম। এ দুই শহীদের স্বজনরা ছাত্রলীগ নেতা মুস্তাফিজুর রহমান শাহরিয়ার ২৮ অক্টোবর সশস্ত্র হালাকারীদের একজন বলে এ প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেন। তারা জানান, একই এলাকার হওয়ায় মাসুম ও শিপনের সঙ্গে আগে থেকেই পরিচয় ছিল শাহরিয়ারের। সেই শাহরিয়ারই ওইদিন মানুষ খুনে নেতৃত্ব দেয়। তবে তারা শাহরিয়ারের ব্যাপারে বিস্তারিত বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। ঘটনার পরদিন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হুকুমের আসামি করে একটি হত্যা মামলা (মামলা নং-৬১ (২৯/১০/০৬) হয়। সে মামলার একজন আসামি শাহরিয়ার। এছাড়া শহীদ মাসুম-শিপন স্মৃতি সংসদের পক্ষে বের করা ‘শাহাদাত দেবে মুক্তি’ শীর্ষক বুকলেটে লালবৃত্তে চিহ্নিত করা আছে শাহরিয়ারের ছবি। ছবির ক্যাপশনে লেখা রয়েছে—‘২৮ অক্টোবর ২০০৬ পল্টন মোড়ে এভাবেই এক শিবির কর্মীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায় কদমতলা-রাজারবাগ এলাকার সন্ত্রাসী ২৮ নং ওয়ার্ড (বর্তমান ৫ নং ওয়ার্ড) ছাত্রলীগ কর্মী শাহরিয়ার।’ এর বাইরে ওই হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রকাশিত বিভিন্ন বুকলেট ও পত্রিকায় শাহরিয়ারের ছবি রয়েছে।
বাসাবো-রাজারবাগ এলাকায় সরেজমিন অনুসন্ধান করে জানা যায়, ২৮ অক্টোবর মানুষ খুনের প্রতিদান হিসেবে ৫ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি করা হয় শাহরিয়ারকে। পরে ২০১১ সালে সরকার দলীয় এমপি সাবের হোসেনের আশীর্বাদে ওয়ার্ড সভাপতি থেকে সরাসরি মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক হন। এলাকায় তাকে মদত দেয় ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শ্রী চিত্তরঞ্জন দাশ। ওই এলাকায় চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্ম করে বেড়ান তিনি। রমজানে দলের ইফতারের টাকা মেরে খাওয়ার অভিযোগ পর্যন্ত উঠেছে তার বিরুদ্ধে। তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার সতুরা শরীফে। চার ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার ছোট। বড় ভাই হিরু এলাকার সন্ত্রাসী এবং বোমা মামলাসহ একাধিক মামলার আসামি। এলাকাবাসী জানায়, রাজারবাগ বাজারে জেরিন মার্কেটে একটি ক্লাব রয়েছে তার, যেখানে প্রতিদিন প্রকাশ্যে জুয়া খেলা চলে। এ জায়গাটি এলাকাবাসীর কাছে মাদকের আখড়া বলে পরিচিত। এখানেই বসে সন্ত্রাসীদের আড্ডা। পুলিশের নাকের ডগায় এসব ঘটলেও পুলিশ অনেকটা দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর আবুজর গিফারী কলেজের ক্যান্টিনটি নিজের দখলে নেন তিনি। নিম্নমানের খাবার দিয়ে অতিরিক্ত মূল্য নিলেও শিক্ষার্থীরা এর কোনো প্রতিবাদ করতে পারছেন না।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, সবুজবাগ থানা পুলিশের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক রয়েছে শাহরিয়ারের। পুলিশের যোগসাজশেই তিনি এসব অপকর্ম করে বেড়ান। তাই পুলিশের ভয়ে তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে চায় না। গত চার বছরে বিরোধী বহু নেতাকর্মীকে পুলিশ দিয়ে নাজেহাল করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। পুলিশের ভয় দেখিয়ে অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন তিনি। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিশেষ করে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের বাসায় পুলিশ নিয়ে হানা দিয়ে তাদের ধরিয়ে দেন।
জানতে চাইলে মুস্তাফিজুর রহমান শাহরিয়ার বলেন, দল শাহবাগের আন্দোলনকে সমর্থন করেছে। তাই আমরা গিয়েছি। আমি মূলত ক্রিকেট খেলি। আওয়ামী লীগ ভালো লাগে তাই করি। কোনো রকমের চাঁদাবাািজর সঙ্গে আমি জড়িত নই। দল করে বড় কোনো নেতা হওয়ার খায়েশও নেই।
২৮ অক্টোবর পল্টনে জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের কর্মীদের মধ্যে হওয়া মারামারিতে অংশ নিয়েছেন স্বীকার করে তিনি বলেন, ওইদিন মারামারিতে ছিলাম। মামলা হইছে, জেল খাটছি। মাইর খাইছি। ‘আপনি তো ছাত্র না, তারপরও কীভাবে ছাত্রলীগের নেতা’—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় অফিসে আমার সিভি দেয়া আছে। দেখে নেবেন আমি ছাত্র কি-না।
তিনি বলেন, ‘অভয় বিনোদনী স্কুলে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পড়েছি আমি। পরে অন্য স্কুল থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করি।’ কোন স্কুল থেকে পাস করেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, তা বলতে পারব না। আপনি দেখি আমার অনেক কিছুই খুঁজে বের করেছেন। এটাও জেনে নিন, পাবেন। এ বিষয়ে সবুজবাগ থানার ওসি বাবুল মিয়ার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে অপারেশন অফিসার আহসান হাবিব খান বলেন, তার ব্যাপারে কোনো অভিযোগ আমরা এখন পর্যন্ত পাইনি। আমি তো জানি সে খুবই ভালো লোক। আমি শুধু তার রাজনৈতিক বিষয়গুলো জানি। তিনি বলেন, আমার জানা মতে তিনি ভালো। ক্লাবে জুয়ার আড্ডা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বলেন, ক্লাবে কিছু হয় কিনা জানি না। আমি নিজে কখনও ক্লাবে যাই না। অভিযোগ পেলে খোঁজ নিয়ে দেখব। আপনি ওসি সাহেবকেও ব্যাপারটা জানান।

৮৭ শতাংশ জনগণ জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধের বিপক্ষে ৯টি গণমাধ্যমের পরিচালিত জরিপের ফলাফল

সম্প্রতি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি ওঠার প্রেক্ষাপটে ৯টি গণমাধ্যম তাদের অনলাইনে এ বিষয়ে পাঠকদের মধ্যে জরিপ পরিচালনা করে। জরিপের ফলাফলে দেখা যায় ৮৭ শতাংশ পাঠক জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। বিভিন্ন মহল থেকে যখন জামায়াত শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা এবং তাদের বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ সব ধরনের প্রতিষ্ঠান বন্ধ ও বয়কটের ডাক দেয়া হয়েছে তখন জামায়াত শিবির বিরোধী হিসেবে পরিচিত গণমাধ্যমের জরিপেই জনমতের পুরো ভিন্ন চিত্র ফুটে উঠেছে।
দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন তাদের অনলাইন সংস্করণে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি পরিচালিত জরিপে প্রশ্ন ছিল ‘আইন প্রতিমন্ত্রী বললেন, জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ এখন গণদাবি – আপনার মত কী?” জবাবে ৮৯.৯৫ % পাঠক জামায়াত নিষিদ্ধের বিপক্ষে ভোট দেন । অন্যদিকে মাত্র ৮.৬৮ % পাঠক জাময়াত নিষিদ্ধের পক্ষে তাদের মত দেন। নীরব থাকেন ১.৩৭ % ।
দৈনিক প্রথম আলো ১৫ ফেব্রুয়ারি পরিচালিত জরিপে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করা বিষয়ে প্রশ্ন ছিল ‘জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করতে রাজনৈতিক ঐকমত্য গড়ে তুলতে সরকার সম হবে কি?’
এর উত্তরে ৭২.৭৩% পাঠক বিপক্ষে ভোট দেন এবং ২৪.৮১% পাঠক পক্ষে মত দেন। ২.৪৬% পাঠক মন্তব্য নেই বলে জবাব দেন। প্রথম আলোর ওই দিনের অনলাইন জরিপে অংশ নেন ৩৭০৪ জন।
বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম ১৮ ফেব্রুয়ারি পরিচালিত জরিপে প্রশ্ন ছিল ‘মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী দল জামায়াতে ইসলামীর কোনো অধিকার নেই বাংলাদেশে রাজনীতি করার। সারাদেশে জামায়াত নিষিদ্ধের দাবি ওঠার প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যে আপনি কি একমত?’ রাত ৮:১৮
মিনিট পর্যন্ত ৬৫%ঁ ভোটার জামায়াত নিষিদ্ধের বিপক্ষে এবং ৩৫% ভোটার নিষিদ্ধের পক্ষে ভোট দেন।
এসময় জরিপে ভোটার সংখ্যা উল্লেখ ছিল ১৩৩৩৭ জন।
কিন্তু এর কিছুক্ষণ পরে ৯টার দিকে প্রকাশিত ফলাফলে দেখানো হয় জামায়াত নিষিদ্ধের বিপক্ষে ৬৫ % এর স্থলে মাত্র ১০% ভোটার মত দিয়েছেন। অন্যদিকে জামায়াত নিষিদ্ধের পক্ষে কয়েক মিনিট আগে উল্লেখিত ৩৫% এর স্থলে ৯০% ভোটার দেখানো হয়। এসময় মোট ভোটারের সংখ্যা উল্লেখ ছিল ১৯৭৩২ জন। এ নিয়ে পাঠক বিডিনিউজের বিরুদ্ধে দ্’ুধরনের তথ্যের স্ক্রিন শর্ট তুলে ধরে ফেসবুকসহ নানা সামাজিক মাধ্যমে জালিয়াতির অভিযোগ তুলে ধরেন।
একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন ‘বিডিনিউজ তাদের জালিয়াতিকে বৈধতা দিতে নিজেদের পে সাফাই গেয়ে উল্টো একটি নিউজ করেছে! দেখেন কতটা মূর্খ! সে নিউজটি পড়লেও কিন্তু ওদের চুরির ব্যাপারটা স্পষ্ট হয়ে উঠবে। জরিপের ফলাফল জালিয়াতির বিষয়টি বিডিনিউজ কর্তৃপ নিজেরাই স্বীকার করল বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বিডিনিউজের মুখপাত্র বলেন, ‘একই আইপি থেকে অবিরত ভোট দেয়ার ঘটনা চিহ্নিত করার পর একই আইপি থেকে অতিরিক্ত ভোট স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল করে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়।’ অথচ বাস্তবতা হলো বিডিনিউজে একই আইপি থেকে ১ বারের অধিক ভোট দেয়া যায় না। যা যে কেউ পরিা দেখতে পারেন। তার মানে ফলাফল তাদের পছন্দমত না হওয়ার কারনে তারা ভোট বাতিল করে ফলাফলে ব্যাপক জালিয়াতি করেছে।
বাংলানিউজ ৬ ফেব্রুয়ারি পরিচালিত জরিপে প্রশ্ন ছিল ‘শাহবাগের চলমান আন্দোলনকে সমর্থন করেন কিনা?’ ওইদিন বিকাল ৫ টা ৮ মিনিটের সময় ফলাফল ছিল শাহবাগের আন্দোলনের পক্ষে ৩ হাজার ৮৩৫ জন এবং বিপক্ষে ১৪ হাজার ৬৬৮ জন। এর মাত্র ১২ মিনিট পরে ৫টা ২০ মিনিটের সময় ফলাফল দেখানো হয় শাহবাগ আন্দোলনের পক্ষে ১৫ হাজার ৪৯২ এবং বিপক্ষে মাত্র ৩৩৩। নিজেদের ইচ্ছামত এ ধরনের ফলাফল পরিবর্তন নিয়েও জালিয়াতির অভিযোগসহ বাংলা নিউজের বিরুদ্ধে নানা বিরূপ মন্তব্য করেন পাঠক। তাদের জালিয়াতি নিয়ে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে তাদের তীব্র সমালোচনার পর বাংলা নিউজ পুরো জরিপটি সরিয়ে ফেলে। তবে অনেকের কাছে এখনো রয়ে গেছে জরিপের স্ক্রিন শট। এরপর থেকে বাংলা নিউজ আর কোন জরিপ করেনি।
দৈনিক ইত্তেফাক ২১ ফেব্রুয়ারি পরিচালিত জরিপে প্রশ্ন ছিল ‘রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের চেয়ে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা শ্রেয়- ব্রিটিশ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এ বক্তব্যের সাথে আপনি কি একমত?’ উত্তরে ৬০.০১% হ্যাঁ এবং ৩৯.৯% না বলে জবাব দেন। কিন্তু পরের দিন তাদের প্রিন্ট সংস্করণে ফলাফল দেখানো হয় ৪০% হ্যাঁ এবং ৫৯% না।
ইত্তেফাক ২১ ফেব্রুয়ারি তাদের জনমত জরিপের ফলাফল প্রিন্ট সংস্করনে পাল্টে দেয়। এ নিয়েও পাঠক মহলে নানা সমালোচনা চলে।
দৈনিক যায়যায়দিন গত ১৯ নভেম্বর পরিচালিত জরিপে প্রশ্ন ছিল ‘জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধের সমর্থন করেন কি না?’ জবাবে ১৮% হ্যাঁ এবং ৮২% পাঠক না সূচক উত্তর দেন।
দৈনিক সমকাল গত ১৮ নভেম্বর পরিচালিত জরিপে প্রশ্ন ছিল ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের সাথে কোনো ধরনের সংলাপ নয়’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য কি সমর্থন করেন?’ জবাবে ৬% হ্যাঁ এবং ৯৪% নাসূচক উত্তর দেন।
দৈনিক ইনকিলাব গত ১৯ নভেম্বর পরিচালিত জরিপে প্রশ্ন ছিল ‘জামায়াত-শিবির ধরার নামে সারা দেশে গ্রেফতার বাণিজ্য চলছে তা বন্ধ হওয়া উচিত কিনা?’ জবাবে ৮১.২৭% হ্যা এবং ১৭.৭৪% না সূচক উত্তর দেন।
ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ ১৯ নভেম্বর পরিচালিত জরিপে প্রশ্ন ছিল ‘সরকারি দল (আওয়ামী লীগ) জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে তা কি সমর্থন করেন?’ জবাবে জামায়াত নিষিদ্ধের বিপক্ষে ৯১% এবং মাত্র ৯% নিষিদ্ধের পক্ষে মত দেন।
দৈনিক ইত্তেফাক পরিচালিত গত ১৯ ফেব্রুয়ারি অনলাইন জরিপে প্রশ্ন ছিল ‘ব্লগার রাজীব হত্যায় জামায়াত-শিবিরের কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবী করেছে জামায়াত। তাদের এই দাবী সমর্থন করেন?’
এর জবাবে জামায়াতের দাবির পক্ষে ভোট দেন ৫৮.৪% এবং বিপক্ষে ভোট দেন ৪১.৫% ।
দৈনিক ইত্তেফাক পরের দিন তাদের প্রিন্ট সংস্করণে অনলাইন জরিপের যে ফলাফল প্রকাশ করে তাতে ভিন্ন তথ্য দেখা যায়। যেমন ওইদিন রাতে পরিচালিত জরিপে অনলাইনে ৫৮.৪ % জামায়াতের পক্ষে ভোট দিয়েছে বলে দেখা যায়। কিন্ত প্রিন্ট সংস্করণে তারা ফলাফল পরিবর্তন করে পরের দিন উল্লেখ করে জামায়াতের পক্ষে ভোট দিয়েছে ৩৫%। অন্যদিকে বিপক্ষে ৪১.৫ % এর স্থলে উল্লেখ করে ৬৫%। অনলাইন সংস্করণ এবং প্রিন্ট সংস্করণে তথ্যের এ গরমিল এখনো বিদ্যমান রয়েছে।
ইত্তেফাক অনলাইন জরিপে ৭৭৯৮ জন ভোটার অংশ নেন।

২৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় শোক দিবস পালনের আহ্বান স্বজনদের










‘চার বছর ধরে আশায় আছি, কখন এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে, কিন্তু বিচার তো পাই না। নিহত দেশপ্রেমিক সেনা কর্মকর্তারা তো কোনো অন্যায় করেননি। ওদের সন্তানরা কাউকে বাবা বলে ডাকতে পারে না, তাদের স্ত্রীরা তাদের দুঃখ কারও সঙ্গে ভাগাভাগি করতে পারে না। কেন তাদের এভাবে জীবন দিতে হলো, কী অপরাধ ছিল তাদের!’ পিলখানা ট্র্যাজেডিতে নিহত সেনা কর্মকর্তা লে. কর্নেল লুত্ফুর রহমানের বোন তাসলিমা রহমান এভাবেই দুঃখ প্রকাশ করে বিলাপ করছিলেন বনানী গোরস্তানে। শুধু তিনিই নন ক্ষোভে ফুঁসছেন নিহত প্রত্যেক কর্মকর্তার স্বজনেরা।
গতকাল ছিল পিলখানা ট্র্যাজেডির চতুর্থ বার্ষিকী। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় বিডিআরের জওয়ান নামধারী কিছু বর্বর ঘাতকের তপ্ত বুলেটে সেদিন নিহত হয়েছিলেন ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৩ জন। সোমবার সকালে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বনানী সেনা কবরস্থানে ছুটে যান তারা।
লুত্ফর রহমানের বোন তাসলািম সাংবাদিকদের বলেন, দেশে এত বড় একটি ঘটনা যারা ঘটিয়েছে, এর পেছনে যারা ছিল, তাদের বিচার যেন সুষ্ঠু সুন্দরভাবে হয়। দেশের মানুষ যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেখতে পায়। পাশাপাশি এই দিবসটিকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করারও দাবি জানান শোকার্ত এই বোন।
নিহত আরেক সেনা কর্মকর্তার বাবা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমরা এখন আল্লাহর দরবারে বিচার চাই। প্রতিদিন, প্রতিনিয়ত বিচার চাইছি। মহান আল্লাহ এদের যথাশাস্তি দেবেন। কিন্তু সরকারের কাছে দাবি জানাই, এ দিনটিকে যেন জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করা হয়, সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়। তাহলেই নিহত সবার আত্মা কিছুটা হলেও শান্তি পাবে।’ নিহত সেনা কর্মকর্তা কর্নেল এমদাদের বোন বলেন, ‘এখন অনেককেই জাতীয় বীর আখ্যা দেয়া হয়। তাহলে পিলখানায় যারা প্রাণ দিলেন তাদের কে কী বলা হবে?’
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘ছোট কোনো ক্ষতি হলেই রাজনীতিবিদরা সেদিকে ছুটতে থাকেন। আর এত বড় একটা হত্যাকাণ্ড হয়ে গেলেও এ দিনটিকে আজও শোক দিবস হিসেবে গণ্য করা হলো না। এটি কি খুব বড় চাওয়া? শুধু স্বজনদেরই নয়, এ হত্যাকাণ্ডে রাষ্ট্রেরও কি কম ক্ষতি হলো? একজন সেনা কর্মকর্তা তৈরি করতে রাষ্ট্রের কম অর্থ ব্যয় হয়েছে!’
নিহত মেজর হুমায়ুন হায়দারের বোন শারমিনা পারভিন সেদিনের দুঃসহ স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘তিনটা দিন আমরা অন্ধকারে ছিলাম। ভেবেছিলাম হয়তো একটু পরেই ভাইয়া ফিরে আসবেন। ভাবিকে তিনি ফোন করে বলেছিলেন, সাথী, বেঁচে থাকলে কথা হবে, মরে গেলে ক্ষমা করে দিও। সবশেষ সেদিন বেলা সাড়ে ১১টায় শেষ যোগাযোগ হয় আমাদের সঙ্গে। দরবার হলের বাথরুমে ঢুকে ভাইয়া মোবাইল ফোনে একটি এসএমএস পাঠিয়েছিল। সেটাই শেষ যোগাযোগ।’ বিচার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিডিআর আইনে এ অপরাধের শাস্তি সামান্য। কিন্তু যে ধরনের নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে দোষীরা—সঙ্গে সঙ্গে তাদের ফাঁসিতে ঝোলানো উচিত ছিল।’
এই সেনা কর্মকর্তার এক ছেলে তাসিন বাবার এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের শোক সইতে না পেরে সাড়ে তিন মাসের মাথায় মারা যায় বলেও জানান শারমিনা।
নিহত মেজর শাহনেওয়াজের মা ফিরোজা বেগম বলেন, ‘বাবারা, সন্তান হারানোর বেদনা কারও সঙ্গে ভাগাভাগি করা যায় না। যার কোল খালি হয় সেই জানে তার কষ্ট।’ তিনি বলেন, ‘২৫ ফেব্রুয়ারি দিনটি খুবই ভয়াবহ দিন। এদিন অনেক মায়ের সন্তান শহীদ হয়েছিলেন। আমাদের অনেক চাওয়া ছিল এর বিচার নিয়ে। এখন তো সবই নিয়তি মনে হয়। হয়তো বা আমাদের চাওয়া পূরণ হবে না, তাই সর্বশক্তিমান আল্লাহর দরবারে আরজি জানিয়ে যাই।’
মেজর শাহনেওয়াজের ভাই হোসাইন শামীম ইফতেখার বলেন, ‘যে গতিতে বিচার এগোচ্ছে মনে হচ্ছে, অনেক ধৈর্য ধরতে হবে। তবে তাতেও যদি প্রকৃত দোষীরা শাস্তি পায় নিহতদের আত্মা শান্তি পাবে। আর এদেশ বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসবে। প্রত্যেক নিহতের স্বজনরা সেটাই চায়।’
এদিন সকাল থেকেই সেনা কবরস্থানে তৈরি হয় শোকাবহ পরিবেশ। ফুল হাতে, সজল চোখে নিহতদের স্বজনরা যখন উপস্থিত হন তখন কারও মুখেই কোনো কথা ছিল না। তবে অকালপ্রয়াত প্রিয় মানুষটির কবরের পাশে গিয়ে কেউই কান্না ধরে রাখতে পারেননি। তাদের কান্নাই বুঝিয়ে দিচ্ছিল প্রিয়জন হারানো কী গভীর ক্ষত সৃষ্টি করে। এ সময় তারা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনা পাওয়ার চেষ্টা করেন।
এদিকে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের চতুর্থ বার্ষিকী উপলক্ষে শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের স্মরণে গতকাল রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে ‘ফিরে দেখা ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ শীর্ষক’ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া বিএনপির পক্ষে বনানী গোরস্তানে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন লে. জে. মাহবুবুর রহমান।
পিলখানা ট্র্যাজেডি দিবসে গতকাল পিলখানাসহ বিজিবির সব রিজিয়ন, সেক্টর, প্রতিষ্ঠান, ইউনিট ও বিওপি পর্যায়ে গতকাল বাদ ফজর পবিত্র কোরআন খতম, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় সকাল ১০টায় বনানী সামরিক কবরস্থানে রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী, তিন বাহিনীর প্রধানরা (সম্মিলিতভাবে), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবং বিজিবি মহাপরিচালক শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
আজ মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টায় পিলখানার বীর-উত্তম ফজলুর রহমান খন্দকার মিলনায়তনে শহীদ ব্যক্তিদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। এতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, বিজিবি মহাপরিচালক, শহীদ ব্যক্তিদের নিকটাত্মীয়, পিলখানায় কর্মরত সব অফিসার, জেসিও, অন্যান্য পদবির সৈনিক এবং বেসামরিক কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করবেন বলে কথা রয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি বাংলাদেশ ন্যাপ নিজ কার্যালয়ে পিলখানা ট্র্যাজেডি উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। এতে দলের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া বলেন, পিলখানা ট্র্যাজেডি দেশের জন্য এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। ন্যাপ নগর সাধারণ সম্পাদক মো. শহীদুননবী ডাবলুর সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন এনডিপি মহাসচিব আলমগীর মজুমদার, ন্যাপ যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ শাহজাহান সাজু, কল্যাণ পার্টি যুগ্ম মহাসচিব এম এম আমিনুর রহমান, কেন্দ্রীয় সদস্য নজরুল ইসলাম মণ্ডল, এনডিপি নগর সাধারণ সম্পাদক মো. ফরিদউদ্দিন, ন্যাপ সম্পাদক শাহ মো. শাহ আলম, নগর সহ-সভাপতি ডা. হাকিম মো. রিয়াজউদ্দিন, সম্পাদক জিল্লুর রহমান পলাশ, মো. কাউছার আলী, বাংলাদেশ জাতীয় ছাত্রদল সভাপতি এম এন শাওন সাদেকী, সাধারণ সম্পাদক সোলায়মান সোহেল প্রমুখ।

Ad